ডোকলামের কাছেই মিসাইল সাজাচ্ছে চিন! উপগ্রহ চিত্রে চাঞ্চল্য
ফের শিরোনামে ডোকলাম। নতুন উপগ্রহ চিত্র হাতে এসেছে ভারতের। দেখা গিয়েছে ডোকলাম, নাকু লা এলাকায় চিনা সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে মিসাইল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফেরাতে যতই ভারতের সঙ্গে বৈঠক করুক চিন, আসলে আগ্রাসী মনোভাব থেকে কোনওভাবেই বেরোতে চাইছে না তারা।
এই বৈঠক বৈঠক খেলার মাঝেই একে একে অস্ত্র সম্ভার গড়ে তুলছে চিন। সীমান্ত জুড়ে তারা সেনা সাজাচ্ছে বলে মত নয়াদিল্লির। লাদাখে যেমন চিনা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, তেমনই এবার তাদের নজর পড়েছে ডোকলামের দিকে। সেই ডোকলাম যেখানে ২০১৭ সালে জুন মাসে চিনা সেনাকে ভারত ভুটান ও চিন সংলগ্ন বিতর্কিত ভূখণ্ড ডোকলামে রাস্তা তৈরিতে বাধা দেয় ভারতীয় সেনা৷
সেখান থেকেই শুরু ডোকলাম সমস্যার৷ দুই দেশই সীমান্তে মোতায়েন করে তাদের সেনা৷ আড়াই মাস পর বেজিং ও নয়াদিল্লির মধ্যে কূটনৈতিক স্তরে বৈঠকের পর বের হয় রফা সূত্র৷ পরে চিন ডোকলাম ইস্যুকে ‘ক্লোসজ চ্যাপটার’ বলে জানায় চিন৷
তবে তা যে ক্লোজড চ্যাপ্টার হয়নি, তা চিনই প্রমাণ করে দিচ্ছে। ২০১৯ সালের জুন মাসে ফের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, ডোকলামের রেইকি করে চিনা সেনা। সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভুটান সেনার আউটপোস্টে বেশ কিছুক্ষণ তারা সময় কাটায়। এরপর ডোকলাম পর্যন্ত এগিয়ে আসে। তারপর সেখানকার ভূ-কৌশলগত বেশ কয়েকটি ছবিও চিনা বাহিনী তোলে বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে জানা যায়।
তবে এবার যে উপগ্রহ চিত্র হাতে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে ২০১৭ সালের মূল ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৫০ কিমি দূরে এই মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করা হয়েছে। এরকম দুটো মিসাইল সিস্টেম বসানো হয়েছে। এই দুটি মিসাইলই ভূমি থেকে আকাশ মাত্রার বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, যদি বৈঠক ব্যর্থ হয় তবে ভারতের হাতে সামরিক পথ খোলা আছে। সেই পথেই চিনা সেনার আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দেবে ভারত।এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত।
রাওয়াতের দাবি ছিল কূটনৈতিক স্তরে ও সামরিক স্তরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই এখনও পর্যন্ত তেমন ফল আসেনি। ষষ্ঠ দফার বৈঠকের পরেও সমাধানসূত্র অধরা ভারতের কাছে। ফলে এবার অন্য পথেও হাঁটতে পারে ভারতীয় সেনা, তেমনই ইঙ্গিত দিলেন প্রাক্তন সেনা প্রধান। এদিন সিডিএস বলেন যদি বৈঠকের ফলই ব্যর্থ হয়, তবে অন্য রাস্তাও খোলা রয়েছে চিনা সেনার আগ্রাসনের জবাব হিসেবে। তাহলে কি সেই সংঘাতের রাস্তায় হাঁটার কথা বলতে চেয়েছেন বিপিন রাওয়াত, প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের।