পুজোর আগে সব রাস্তা সারাতে হবে, নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
পুজোর আগেই পঞ্চায়েত ও পুর এলাকায় ঝাঁ-চকচকে রাস্তাঘাট দেখতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন করে নির্মাণ অথবা মেরামত। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ মেটাতে যা যা করণীয়,সেটাই করতে হবে। এই মর্মে পূর্ত, পঞ্চায়েত ও পুরদপ্তরকে মাঠে নেমে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। লকডাউন পরিস্থিতিতে আর্থিক সঙ্কট থাকলেও অর্থের অভাব হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো জেলাভিত্তিক ভাঙাচোরা রাস্তা নিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু করতে চলেছে পূর্তদপ্তর। আগামী সপ্তাহে জেলার প্রতিটি জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে বৈঠক করবেন পূর্তসচিব নবীন প্রকাশ। সমীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার পর কাজ শুরু হবে। শেষ করতে হবে পুজোর মধ্যেই। এমনটাই নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
পঞ্চায়েত এলাকায় রাজ্য সড়ক নির্মাণ ও মেরামতের দায়িত্বে রয়েছে পূর্তদপ্তর। ‘গ্রামীণ সড়ক যোজনা’ প্রকল্প বাস্তবায়নেও সাফল্য পেয়েছে রাজ্য। এবার মমতা নজর দিয়েছেন গ্রামের ভিতরের ছোট ছোট রাস্তার উন্নয়নে। যেগুলি মূলত গ্রামের সঙ্গে গ্রাম, পাড়ার সঙ্গে পাড়ার সংযোগ ঘটিয়েছে। বাম জমানায় এই রাস্তাগুলির সিংহভাগই ছিল কাঁচা অথবা লাল মাটির। এখন প্রায় প্রতিটি রাস্তাই সিমেন্ট কিংবা পিচের। তবে বেশ কয়েকটি জেলায় গ্রামের রাস্তাঘাট ভেঙেচুরে যাতায়াতের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। সেই অভিযোগ কানেও পৌঁছেছে মমতার। বিশেষ করে বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার রাস্তা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। পঞ্চায়েত দপ্তরের তদারকিতে গ্রামের রাস্তা তৈরি করে জেলা পরিষদ। সেই সব রাস্তা এখন মেরামত এবং নতুন করে নির্মাণ করা হবে। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত দপ্তরকে এ ব্যাপারে উদ্যেগী হতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কাজের জন্য অর্থ জোগাবে রাজ্যের কোষাগার। প্রয়োজনে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকাও ব্যয় করা হতে পারে।
পূর্তদপ্তরের অধীন গ্রামীণ রাস্তাও মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে মূলত কাজ হবে রাজ্য সড়কগুলির। পরিকল্পনা বহির্ভূত বাজেট থেকে অর্থ জোগাবে রাজ্য। ইতিমধ্যেই পূর্তসচিব রাস্তা মেরামতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রতিটি জেলায় খারাপ রাস্তার পূর্ণাঙ্গ একটি মানচিত্র তৈরির জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। আগামী সপ্তাহে এই বৈঠক হওয়ার কথা। রাজ্যে মোট ১২৫টি পুরসভা ও ৬টি কর্পোরেশন রয়েছে। পুর এলাকার রাস্তাঘাটেরও প্রভূত উন্নয়ন চান মুখ্যমন্ত্রী। এই সব রাস্তাগুলির নির্মাণ ও দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে সংশ্লিষ্ট পুরসভা। পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে খুব শীঘ্রই পুর এলাকায় রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হবে।’