নচিকেতার যে গানগুলি না শুনে থাকলে জীবনটাই বৃথা
শুরুটা সেই ১৯৯৩ সালের প্রথম অ্যালবাম “এই বেশ ভালো আছি”-র হাত ধরে। তারপর আর কখনো পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি নচিকেতা চক্রবর্তীকে। একের পর এক জীবনমুখী গানের সম্ভার দিয়ে খরা কাটিয়েছেন বাংলা গানের।
বিতর্ক কখনো পিছু ছাড়েনি তাঁর। প্রথম অ্যালবামে ‘সারে জাহান সে আচ্ছা’ই হোক বা নিজের সুরে গাওয়া ‘একলা চলতে হয়’, কখনো ‘সরকারি কর্মচারী’ আবার কখনো ‘ডাক্তার’ সমাজের ধ্যান-ধারণাকে কোনওদিন বিশেষ পাত্তা দেননি নচিকেতা। তাই, আজও আট থেকে আশির মুখে ফেরে নীলাঞ্জনা, বৃদ্ধাশ্রম।
ওনার জন্মদিনে, শুনুন নচিকেতার কালজয়ী গানগুলো:
এই বেশ ভালো আছি
১৯৯৩ সালের প্রথম অ্যালবামের শীর্ষক এই গান। সেই সময়ের নিরিখে বাস্তব পরিস্থিতিকে নিজের গানের মধ্যে তুলে ধরেছিলেন তিনি।
নীলাঞ্জনা
এটিও প্রথম অ্যালবামের গান। জীবনের প্রথম প্রেম নিয়ে লেখা এই গান ২৭ বছর পরও মানুষের মুখে ঘোরে।
একদিন ঝড় থেমে যাবে
অস্থির সময় নিয়ে লেখা এই গান। এই গান আজকের পরিস্থিতিতে খুবই উপযোগী। আশার আলো যোগায় কথাগুলি
ডাক্তার
প্রায়ই আমরা খবরের কাগজে বা টিভির চ্যানেলে চিকিৎসা বিভ্রাটের কথা শুনি। এছাড়া, অসৎ ডাক্তার ও ক্লিনিকের অত্যাচার নিয়ে জেরবার আমরা সকলেই। সেই নিয়ে লেখা বহু বিতর্কিত এই গান।
একলা চলতে হয়
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা দিয়ে শুরু করে সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের এই গান। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষ কতটা একা, সেই নিয়ে এই গান। বিতর্কিত হয় এই গানও।
কে আছো কোথায়
ম্যাডলি বাঙালি শীর্ষক ছবির একটি বিখ্যাত গান। অঞ্জন দত্তের নির্দেশনায় এই সিনেমাটি সেই সময় খুব জনপ্রিয় হয়।
সরকারি কর্মচারী
৯০এর দশকে সরকারি কর্মচারীদের অকাজের সংস্কৃতি নাজেহাল করেছিল সারা রাজ্যকে। সেই সংস্কৃতির মুখে সপাটে আঘাত করেছিল এই গান।
উল্টো রাজার দেশে
আজকের রাজনৈতিক পরিবেশে এই গান খুব জীবন্ত। দেশে বিপরীত বুদ্ধির কোনও ব্যক্তি দেশ শাসনের দায়িত্ব পেলে দেশের মানুষের কি অবস্থা হয়, সেটির জন্যই এই গান। শুনুন
তুমি আসবে বলেই
এটিও একটি খুব জনপ্রিয় প্রেমের গান। সেই সময় থেকে আজও মানুষের মুখে ফেরে এই গান। অন্তর্নিহিত রাজনৈতিক বার্তাও খুব প্রাসঙ্গিক।
এক পুরোনো মসজিদে
সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত জুলফিকার ছবির অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি গান। বিশাল বিরতির পর নচিকেতার গানের জগতে ‘কামব্যাক’ বলা যেতে পারে।