দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

গেরুয়া শিবিরে বড় ধাক্কা, তৃণমূলে যোগ ১৫ জন শীর্ষ নেতার

September 2, 2020 | 2 min read

২০২১ এর বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে বিরোধী দল থেকে নেতা-কর্মীদের নিজেদের দলে আনার উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছে শাসক তৃণমূল। বুধবার বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল ভবনে পদ্ম শিবির ছেড়ে ১৫ জন শীর্ষ নেতা সহ শতাধিক কর্মী ঘাস ফুল শিবিরে যোগ দিলেন।

বিজেপি ছেড়ে আসা সমস্ত নেতা-কর্মীদের দলীয় প্রতিক আঁকা উত্তরীয় দিয়ে বরণ ও হাতে দলীয় পতাকা ধরিয়ে দেন তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি, রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। বাঁকুড়া বিজেপির অন্যতম শক্ত ঘাঁটি। গত লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া লোকসভা আসন থেকে জয় পায় বিজেপি। সাংসদ হন সুভাষ সরকার।

এরপর আর বাঁকুড়া-জঙ্গলমহলে বিজেপিকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ক্রমশ সংগঠনকে মজবুত করেছে। এবার পালটা অবস্থান নিল তৃণমূল। একের পর এক বিজেপির শক্তঘাঁটিতে থাবা বসাচ্ছে শাসকদল তৃণমূল। গত কয়েকদিন ধইরে লাগাতার বিজেপিতে ভাঙন ধরাচ্ছে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন বিধায়ক।

ফের একবার বাঁকুড়ার মতো বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে ভাংতন ধরাল তৃণমূল। জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, এদিন বিজেপির বিষ্ণুপুর নগর মণ্ডল এস.সি মোর্চার সভাপতি বাবলু মার্ডিজ, ওই দলের প্রাক্তন কোতুলপুর ব্লক সম্পাদক মহিমা রঞ্জন বন্দোপাধ্যায়, বি.জে.এম.টি.ইউ-র জেলা সভাপতি, ইন্দপুরের মদন দাস মহন্ত, জেলা শিব সেনা যুব সভাপতি শান্তিময় মালগোপ, এস.সি, এস.টি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, তালডাংরার বিশ্বনাথ মাণ্ডি, নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য, ওন্দার বাবর আলি খান, প্রাক্তন ব্লক যুব সভাপতি, সারেঙ্গার আশিস গিরি, বাউরী সমাজ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ বাউরী, বি.জে.এম.টি.ইউ-র বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি, কোতুলপুরের অভিজিৎ সাঁতরা সহ বেশ কয়েকজন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এদিন তাঁদের দলে যোগ দেন।

এদিন উপস্থিত বিজেপি ছেড়ে কলকাতায় গিয়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া অনিল বরণ ঘোষ বাঁকুড়ার সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকারকে একহাত নেন। তিনি বলেন, বাঁকুড়া জেলা বিজেপি ওনার ‘পৈতৃক সম্পত্তি’ হয়ে গিয়েছে। সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর মানুষ একদিনও ওনাকে পাশে পায়নি।

একই সঙ্গে বিজেপি এখন গোষ্ঠী সংঘর্ষে জর্জরিত বলে দাবি করেছেন অনিলবাবু। তিনি বলেন, বাংলার উন্নয়নের জন্য আবারও এই রাজ্যে তৃণমূলের ক্ষমতায় থাকা দরকার। রাজ্যের প্রতিটি মানুষের উন্নয়ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

অন্যদিকে, তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, জেলার দুই বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ও উন্নয়নের অংশিদারী হতে ওই দলের শীর্ষ নেতারা আমাদের দলে যোগ দিলেন। বছরের ৩৬৫ দিন সহ বর্তমান করোনা

পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা মানুষের পাশে আছেন। বিরোধীদের দেখা নেই। এটা বুঝেই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিলেন বলে তিনি দাবি করেন। এদিন জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা কো-অর্ডিনেটর গুরুপদ মেটে, মুখপাত্র দিলীপ আগরওয়াল প্রমুখ।


TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Bankura, #bjp, #tmc

আরো দেখুন