পর্দায় আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে ‘রুদ্র-প্রিয়ম’
বাংলা ছবির দর্শক উপহার পেতে চলেছেন এক নতুন জুটি। এসকে মুভিজ়ের ব্যানারে পরিচালক সায়ন্তন ঘোষালের আগামী ছবি ‘স্বস্তিক সংকেত’-এ জুটি বাঁধছেন নুসরত জাহান এবং গৌরব চক্রবর্তী। দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘নরক সংকেত’ অবলম্বনে এই ছবির কাহিনির পুনর্নির্মাণ, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখছেন সৌগত বসু। ছবিতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে রুদ্রনীল ঘোষ, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখকে। এ মাসের শেষেই শুটিং করতে লন্ডন পাড়ি দেবে ছবির টিম।
গল্পের দুই প্রটাগনিস্ট রুদ্রাণী ও প্রিয়মের ভূমিকায় দেখা যাবে নুসরত ও গৌরবকে। যদিও এখনও চুক্তিতে সই করেননি তাঁরা, তবে তাঁরা যে থাকছেন তা নিশ্চিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপট ও বর্তমান সময়কে মিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে ছবির গল্পে। হিটলার-নেতাজি সাক্ষাৎ, নিও-নাৎসি মুভমেন্ট ও ইউরোপে অভিবাসী সমস্যা, এক ধরনের নভেল ভাইরাস ও তার অ্যান্টিডোটের ফর্মুলা আবিষ্কার— স্ক্রিপ্টে মজুত নানা উপাদান। সময়ের দাবি মেনেই চিত্রনাট্যে সংযোজিত হয়েছে মারণভাইরাসের বিষয়টি।
১৯৪২-৪৩ সালের প্রেক্ষাপট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন হিটলারের রণকৌশলে চলছে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা, যার মধ্যে রয়েছে বায়োলজিক্যাল ওয়ারফেয়ারও। এক বিজ্ঞানীর আবিষ্কৃত ভাইরাসের অপব্যবহার শুরু করে নাৎসি বাহিনী, যা বুঝতে পেরে সেই বিজ্ঞানী ভাইরাসটি ছড়িয়ে দেয় কিছু নাৎসি সৈন্যের মধ্যে। একই সঙ্গে লুকিয়ে ফেলে তার অ্যান্টিডোটের ফর্মুলাটিও। কাট টু, বর্তমান সময়। ক্রিপ্টোগ্রাফার রুদ্রাণীর ডিকোড করা ফর্মুলার অপপ্রয়োগ শুরু হয় ইউরোপের ইমিগ্র্যান্টদের উপরে। রুদ্রাণী আর প্রিয়ম তার অ্যান্টিডোটের ফর্মুলা কী ভাবে খুঁজে বার করবে, সেই অনুসন্ধান কী ভাবে তাদের নিয়ে যাবে অতীতে, তাই নিয়েই দানা বাঁধবে থ্রিলার। এখানেই থাকছে চ্যাটার্জি নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, যার বাবা সেই অতীতের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করে দেয়। চ্যাটার্জির চরিত্রে অভিনয় করছেন রুদ্রনীল ঘোষ। শাশ্বতকে দেখা যাবে নেতাজির ভূমিকায়।