কর্মী নিয়োগের দাবিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন পথে এই সংগঠনগুলি
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী নিয়োগ প্রতি বছর ব্যাপক হারে কমছে। একদিকে যেমন ২০১৭র পর থেকে স্টাফ সিলেকশন কমিশন কম্বাইন গ্র্যাজুয়েট লেভেলের মাধ্যমে ভর্তি বন্ধ অন্য দিকে রেলের ১.৩৫ লক্ষ কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেও ১৮ মাস কেটে গেলেও পরীক্ষায় তারিখ ঘোষণা হয়নি। প্রায় ২.৪২ কোটি আবেদনকারী ৫৫০ টাকা দিয়ে ফর্ম কিনে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ থেকে বসে আছে। আজও জানে না কবে পরীক্ষা হবে। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হলো জাতীয় বাংলা সম্মেলন এবং অবিলম্বে এই কেন্দ্রীয় সরকারি পরীক্ষাগুলির নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবী নিয়ে সংগঠনের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়।
বর্তমানের এই করোনা পরিস্থিতিতে যখন মানুষ কোথাও চাকরি পাচ্ছে না, অন্যদিকে বিপুল হারে চাকরি চলে যাওয়ার খবর আসছে তখন সরকারি চাকরিই বর্তমান যুব সমাজের শেষ ভরসা। একমাত্র সরকারি ক্ষেত্রই একটি জায়গা যেখানে তপশিলি জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষের তাদের সংবিধান স্বীকৃত সংরক্ষণের অধিকারের দ্বারা চাকরি পেতে পারেন। সরকারি চাকরি বিলোপ ঘটানো আসলে ঘুর পথে সেই অধিকার যা দীর্ঘদিন সংগ্রামের মাধ্যমে তারা অর্জন করেছে তা কেড়ে নেওয়ার একটা ফন্দির বাস্তবায়ন।
আইবিপিএস থেকে রেল কিংবা স্টাফ সিলেকশন কমিশন সকল ক্ষেত্রেই বেশ কিছু বছর ধরে শূন্যপদে ব্যাপক হ্রাস হচ্ছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের এই মনোভাবের তীব্র বিরোধিতা করছে জাতীয় বাংলা সম্মেলন। এই নিরিখে সংগঠনের তরফে আগামী সংসদ অধিবেশনে সোচ্চার হওয়ার দাবী নিয়ে বাংলার সকল সাংসদকে চিঠিও লেখা হয়েছে।
আমাদের রাজ্যের ছেলে-মেয়েরা কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়ছে কারণ তারা তাদের মাতৃভাষায় পরীক্ষা দিতে পারে না। তাই তারা সাংসদদের কাছে এও দাবী করেছে যে কেন্দ্রীয় সরকারি সকল চাকরির পরীক্ষা বাংলা ও সাঁওতালি ভাষায় দেওয়ার সুযোগ থাকতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়োগ প্রক্রিয়ার এই ব্যর্থতার বিরুদ্ধে আগামী দিনে ঐ সংগঠন বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছে।