দিলীপ-সৌমিত্র দ্বন্দ্বের নেপথ্যে অনুপম? সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য
দলে জেলার যুব সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশকে ঘিরে অন্তর্দ্বন্দ্বের মধ্যেই রাজ্য কমিটির নামের তালিকা প্রকাশ করলেন সংগঠনের সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। নতুন কমিটিতে যুব মোর্চার সহ সভাপতি পদে রাখা হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরাকে। আর এখানেই যত গন্ডগোল!!!
গেরুয়া শিবিরের একাংশ জানিয়েছে, সৌমিত্র খাঁ-এর সঙ্গে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গন্ডগোল যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির দুই সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে।
শোনা গিয়েছে, রাজ্য-রাজনীতিতে পরিচিত মুখ, সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়, জনসংযোগে পারদর্শীতার জন্য অনুপম হাজরাকে ওই পদে বসানোর ইচ্ছা ছিল সৌমিত্রর। এমনকি তাতে সায় ছিল দলের কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেননদেরও।
কিন্তু সেখানে বাধ সাধেন নাকি দিলীপ ঘোষ। এমনটাই অভিযোগ। আর সেই ঘরোয়া ঠান্ডা লড়াইয়ে তাঁরই জয় হয়। নতুন তালিকা অনুযায়ী মোর্চার সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ রায়, প্রকাশ দাস। এঁরা দুজনেই দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলেই দলের একাংশর দাবি।
বিজেপির কেউ কেউ বলছেন, যুবর রাজ্য কমিটির তালিকায় কাঁচি চালানোয় দিলীপ ঘোষের উপর কেন্দ্রীয় নেতারা খুব অসন্তুষ্ট। উল্লেখ্য, শুক্রবার যুব মোর্চার ২৯টি জেলার সভাপতির নামের তালিকা প্রকাশ করেন সৌমিত্র খাঁ তা বিজেপির মিডিয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেওয়ার এক মিনিটের মধ্যে মুছে দেওয়া হয়।
ওই তালিকাতেও বেশ কিছু জেলা সভাপতিদের নাম নিয়ে আপত্তি ছিল নাকি দিলীপ ঘোষের। কিন্তু সেটা ধোপে টেকেনি বলেই জানা যায়। রাজ্য কমিটির তালিকা প্রকাশের পর সৌমিত্র খাঁ বলেন, “রাজ্যে ২ বছর হয়েছে দলে যোগ দিয়েছি। নিয়ম রয়েছে আগে রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হবে। তারপর জেলা কমিটি ঘোষণা করার নিয়ম।
সেই কারণে আগে ঘোষিত জেলা সভাপতিদের নাম বাতিল করা হয়েছিল। তবে তাঁরা এখন বহাল থাকবেন। সেই তালিকার কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। পরিবর্তন হলে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পরামর্শ অনুযায়ী পরিবর্তন করা হবে।” যুবর সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অনুপম হাজরার নাম বাদ যাওয়া নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি সৌমিত্র।
তিনি শুধু বলেছেন, “অনুপম আমার বন্ধু ঠিকই। কিন্তু সব আমার ইচ্ছায় তো হবে না। দলের সিদ্ধান্তই শেষ কথা। ও লড়াকু ছেলে। আমার বিশ্বাস, যুব মোর্চার সহ সভাপতি হিসেবে ও ভালো কাজ করবে।” এবিষয়ে অনুপমের প্রতিক্রিয়া জানতে তাঁকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর ফোন বন্ধ ছিল।