বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

পুজোর আগে খুশির খবর – চলতি মাসেই খুলতে পারে মঙ্গলাহাট

September 3, 2020 | 2 min read

মঙ্গলাহাট খোলার ব্যাপারে অবশেষে সায় দিতে চলেছে হাওড়ার জেলা প্রশাসন। চলতি মাসের মাঝামঝি সময় থেকে মঙ্গলাহাট চালু করার জন্য প্রশাসন তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে একেবারে আগের মতো স্বাভাবিক অবস্থায় হাট চালু করা হবে না। খুচরো বিক্রেতাদের অন্যত্র সরানোর পাশাপাশি সব দোকান একই দিনে, একই সময়ে না খুলে আলাদা আলাদা সময় ঠিক করে দেওয়া হতে পারে। বিধিনিষেধ কী কী হবে, সেই বিষয়ে হাটের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে চলতি সপ্তাহেই আলোচনায় বসবে জেলা প্রশাসন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ঠিক হবে নতুন নিয়মকানুন। মঙ্গলাহাট খোলার ব্যাপারে বুধবার জেলা প্রশাসনের কর্তারা ভার্চুয়াল মাধ্যমে এক বৈঠক করেন। সেখানে হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য থেকে শুরু করে সিটি পুলিস ও গ্রামীণ পুলিসের পদস্থ কর্তা, স্বাস্থ্যবিভাগের কর্তা, জেলা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সম্মিলিতভাবে হাট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এসে পড়েছে শারদোৎসব। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে মঙ্গলাহাটের মতো বস্ত্র কেনাবেচার পাইকারি ও খুচরো বাজারে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়। লক্ষাধিক মানুষের জীবনজীবিকার প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে এই হাটের সঙ্গে। করোনার কারণে মার্চ মাসের শেষ থেকে এখনও পর্যন্ত মঙ্গলাহাট বসেনি। হাওড়া ও কলকাতা লাগোয়া তিন-চারটি জেলাজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য বস্ত্র ব্যবসায়ী, হোসিয়ারি শিল্পের সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার মানুষের জীবিকা প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। জুন মাসের শুরুতে আনলক-১ পর্ব চালু হলে খিদিরপুর, অঙ্কুরহাটি ইত্যাদি জায়গার পাইকারি বস্ত্রবাজার খুলে যায়। কিন্তু মঙ্গলাহাটের জন্য সেই অনুমোদন দেয়নি প্রশাসন। হাওড়া শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে যে বিশাল এলাকাজুড়ে মঙ্গলাহাট বসে, সেখানেই রয়েছে হাওড়া জেলা হাসপাতাল, পুরভবন সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্যালয়। ফলে একবার হাট আগের মতো চালু হয়ে গেলে সংক্রমণে আর রাশ টানা যেত না বলে মত দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাই একদল ব্যবসায়ী হাট খোলার দাবিতে রীতিমতো পোস্টারিং, প্রচার শুরু করলেও প্রশাসন এতদিন অনড় ছিল। জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা এদিন বলেন, এমনিতেই বহু মানুষ বড়সড় লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে।
এখন আস্তে আস্তে সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার দিকে এগচ্ছে। লোকাল ট্রেন চালু হয়ে গেলে এমনিতে হাওড়া শহরে লক্ষাধিক মানুষের আনাগোনা আর ঠেকানো সম্ভব নয়। এই প্রেক্ষিতে শারদোৎসবের কেনাবেচার কথা মাথায় রেখে হাট ফের খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জেলা পরিষদের এক কর্তা বলেন, হাট একেবারে আগের মতো চালু করা হবে না। কিছু বিধিনিষেধ আমাদের রাখতেই হবে। খুচরো বিক্রেতাদের অন্যত্র কোথাও বসানো যায় কি না, স্থায়ী দোকানগুলিকে দিনের নির্দিষ্ট সময় ভাগ করে খোলানো যায় কি না, এসব বিষয়ে আলোচনা চলছে। সূত্রের খবর, হাট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও করোনা সংক্রমণের সিঁদুরে মেঘ দেখছেন স্বাস্থ্যবিভাগের কর্তারা। পদস্থ এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, হাট একবার খুলে গেলে ভিড় আদৌ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। গত দিন পনেরো হাওড়া শহর সহ পুরো জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম রয়েছে। ১০০-র নীচেও নেমেছে সেই সংখ্যা। কিন্তু হাট চালু হয়ে গেলে কী হবে, সেই দুশ্চিন্তা তাড়া করছে তাঁদের।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#covid19, #Mangala haat

আরো দেখুন