ঘুরতে যাওয়ার পরবর্তী ডেস্টিনেশান হোক পাহাড়ি গ্রাম মংপং
পাহাড়ের কোলে এক ছোট্ট গ্রাম। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা। খানিকটা গেলেই মহানন্দা অভয়ারণ্য। চেনা, অচেনা পরিযায়ী পাখিদের শীতের ঠিকানা। মন ভাল করার সব রসদ সাজিয়ে অপেক্ষায় দার্জিলিং জেলার এই গ্রাম, মংপং। একবার ঢুঁ মারতেই পারেন কালিম্পং ফরেস্ট ডিভিশনের অনবদ্য এই ডেস্টিনেশনে।
শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ঘণ্টাখানেকের দুরত্ব। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে সেবক করোনেশন সেতু। ডানদিকে ঘুরে মিনিট দশেকের পথ। যাওয়ার পথে দেখতে পাবেন সেবক পাহাড়ের চড়াই উতরাই। পাশ দিয়ে বয়ে চলা খরস্রোতা তিস্তা। চারদিকে ঘন জঙ্গল। গাছে গাছে লাফালাফি করছে হনুমান। পথের বাঁকে নেমেছে পাহাড়ী ঝর্ণা। এসব দেখতে দেখতেই পৌঁছে যাবেন মংপং-য়ে। ছোট্ট জনপদ। চেনা, অচেনা পরিযায়ী পাখিদের কলতানে সবসময়ে মুখরিত। শহুরে কোলাহলে অভ্যস্থ জীবন থেকে পাবেন এক ছোট্ট বিরতি।
এক রাত কাটিয়ে চলে যেতে পারেন ডুয়ার্স কিংবা সিকিমে। হাতের নাগালে গরুমারা, চাপড়াবাড়ি অভয়ারণ্য। পিছনে বেঙ্গল সাফারি পার্ক। ইচ্ছে হলে তিস্তা বাজার হয়ে পৌঁছে যাওয়া যায় দার্জিলিং-য়ে।
কোথায় থাকবেন
রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের পাঁচটি কটেজ আছে এখানে । ভাড়া ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা।
কিভাবে যাবেন
এনজেপি স্টেশন কিংবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ভাড়া গাড়ি। কিংবা শিলিগুড়ি থেকে ডুয়ার্সগামী সরকারি, বেসরকারি বাসে পৌঁছোনো যায় মংপং-এ।