১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিলি করতে হবে ৮ লাখ কিষাণ ক্রেডিট কার্ড – ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ রাজ্য সরকারের
বৃহস্পতিবার বাংলার অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্রের পৌরোহিত্যে রাজ্যের ২২টি ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন দফতরের সচিবদের নিয়ে ভিডিও মাধ্যমে স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে বাংলার সরকারের তরফে মন্ত্রী এই কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মোট ৭.৮৯ লক্ষ কিষাণ ক্রেডিট কার্ড (কেসিসি) দেওয়ার কথা বলেছে।
অমিত মিত্র জানান, সরকারি এবং বেসরকারি— উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাঙ্কগুলিকে সরকারের তরফে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০ কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বিলির লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল। জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত ১২.১১ লক্ষ কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বিলি করা হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরও সাড়ে পাঁচ লক্ষ কার্ড বিলি করা হবে। এ ছাড়া ২.৬ লক্ষ চাষির আবেদন নানা কারণে বাতিল হয়েছে, সেগুলিও আবার বিবেচনার জন্য জেলাশাসকেরা ব্যাঙ্কের কাছে পাঠাবে। ফলে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই প্রায় ২০ লক্ষ কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বিলি করা সম্ভব হবে।
এক আধিকারিক জানান, ‘চলতি বছরের ১ জুনের আগে রাজ্যে মোট ৩৫ লাখ কেসিসি জারি করা হয়েছিল। আরও ১২.১১ লক্ষ কেসিসি জারির সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা ৪৭.১১ লক্ষে পৌঁছেছে। আমরা যদি ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০ লাখ কার্ড দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারি, তবে মোট ৫৫ লক্ষ কৃষকের কেসিসি হবে, যা একটি বড় সাফল্য বলে গণ্য হবে।’ আরেক আধিকারিক জানান, রাজ্যে মোট ৭২ লক্ষ কৃষক রয়েছেন। এঁদের মধ্যে ১০ লক্ষ কৃষক আর্থিক ভাবে সচ্ছল হওয়ায় তাঁদের ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। সেক্ষেত্রে ৫৫ লক্ষ কৃষক কেসিসি দ্বারা আওতাভুক্ত থাকলে রাজ্যে মোট কৃষকের একটা বড় অংশই উপকৃত হবেন। এবং তা কৃষিক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
অর্থমন্ত্রীর মতে, ‘করোনার মধ্যেই কেসিসি বিতরণে এমন কাজ প্রশংসাযোগ্য। ২০ লক্ষ কার্ড বিলি পূর্ণ হলে রাজ্যে সব মিলিয়ে ৬৫ লক্ষ চাষির হাতে কেসিসি পৌঁছবে। তাতে গচ্ছিত রাশি ছাড়াই ঋণ মিলবে।’ তিনি আরও জানান, রাজ্যে ক্ষুদ্র-ছোট শিল্প এবং ব্যবসায় ১৫ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি। এছাড়া স্বনির্ভর দলে ঋণ দানের ক্ষেত্রেও ব্যাঙ্কগুলির ভূমিকা প্রশংসাযোগ্য। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে স্বনির্ভর দল ৯২২৫ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছিল। এ বার সেই লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।