দু’বার ভোট দিন, ডাকযোগে এবং সশরীরে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে-ডোনাল্ড ট্রাম্প
সমর্থকদের দু’বার করে ভোট দিতে বলছেন ট্রাম্প। একবার ডাকযোগে, আর একবার সশরীরে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে। উত্তর ক্যারোলাইনার উইলমিংটনে গিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ওঁদের কথা মতো ব্যবস্থাপনা যদি এতই ভাল হয়, তাহলে তো সশরীরে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটই দিতে পারবেন না কেউ।’
শুরু থেকেই ডাকযোগে ভোটের বিরোধিতা করে গেছেন ট্রাম্প। প্রমাণ ছাড়াই তাঁর অভিযোগ, মেইল–ইন ব্যালটে ভোট হলে জালিয়াতি করার সুযোগ পাবে ডেমোক্র্যাটরা! পেনসিলভ্যানিয়ার ল্যাট্রোবে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নিশ্চিৎ করতে হবে, আপনার ভোটটি যাতে গোনা হয়। কারণ একমাত্র জালিয়াতি করেই ওঁরা আমাদের হারাতে পারবে।’ একবারের বেশি ভোট–দান আমেরিকায় বেআইনি। শুধু তাই নয়, এই কাজে মদত দেওয়ারও উত্তর ক্যারোলাইনার মতো রাজ্যে গুরুতর অপরাধ!
নর্থ ক্যারোলিনার অ্যাটর্নি জেনারেল জশ স্টেইন বলেন, প্রকাশ্য জনসভায় দাঁড়িয়ে আইন ভাঙার কথা বলছেন ট্রাম্প। টুইটারে স্টেইন লেখেন, ‘অবশ্যই ভোট দিন। তবে দু’বার না। আমার হাতে যা ক্ষমতা আছে, তা দিয়ে নভেম্বরে সাধারণ মানুষের স্বার্থ সুরক্ষিত করার চেষ্টা করব আমি।’ এত বিতর্কের মাঝেও নিজের বক্তব্যে অনড় প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবারও টুইটে বলছেন, ‘ডাকযোগে ভোট দেওয়ার পর সোজা বুথ কেন্দ্রে ভোট দিতে পৌঁছে যাবেন।’
ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনের ডিরেক্টর রেইনা ওয়াল্টার্স–মরগ্যান বলেন, ‘স্পষ্ট করে দিতে চাই, ডাকযোগে ভোট একেবারে নিরাপদ। সুরক্ষিত উপায়েই ভোট দিতে পারবেন নাগরিকেরা। ট্রাম্পের উচিত, গোটা প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে তোলা। কঠিন করা তোলা নয়!’ উত্তর ক্যারোলাইনার বোর্ড অফ ইলেকশনের মুখপাত্র প্যাট্রিক গ্যানন বলছেন, ‘দু’বার ভোটদান সম্ভব নয়। প্রথমত, এটা বড় অপরাধ। দ্বিতীয়ত, ব্যালট ডাকযোগে আমাদের হাতে এসে পৌঁছনোর আগেই যদি কেউ বুথে গিয়ে ভোট দেন, তাহলেই ওই ভোটটিই গোনা হবে। ব্যালট পরে এসে পৌঁছলেও তা বাতিল হয়ে যাবে।’