জিএসটি-র ঘাটতি মেটাতে ধার করুক কেন্দ্র, চিঠি ৪ মুখ্যমন্ত্রীর
কেন্দ্র প্রস্তাব দিয়েছিল, জিএসটি-র আওতায় ক্ষতিপূরণের ঘাটতি মেটাতে রাজ্যগুলো ঋণ করতে পারে। এই প্রস্তাব খারিজ করে কেন্দ্রকে চিঠি দিল চার অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। উল্টে জানাল, কেন্দ্রই বরং ধার করুক।
এ প্রসঙ্গে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ই কে পালানিস্বামী। আর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি দিয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল।
দিন কয়েক আগেই জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নিমর্লা সীতারমন জানিয়েছিলেন যে, পণ্য ও পরিষেবা করের ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব নেবে না কেন্দ্র। ক্ষতিপূরণ মেটাতে রাজ্যগুলিকে ধার নিতে হবে। দু’টি বিকল্প প্রস্তাবও দেন সীতারমন। প্রথম বিকল্প হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘বিশেষ জানালা’ আইন অনুযায়ী রাজ্যগুলি ৯৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে। সেক্ষেত্রে সুদের হার সহজ করার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। এই ঋণ পাঁচ বছরের মেয়াদে দেওয়া হবে, এরপর সেস তহবিলের পক্ষ থেকে তা মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্যগুলিকে।
দ্বিতীয় বিকল্প হিসাবে, কেন্দ্র তরফে বলা হয়েছে, লোকসানের ২ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকার পুরোটাই ঋণ হিসাবে নিতে পারে রাজ্যগুলি। ক্ষতিপূরণের জন্য এই ঋণের ব্যবস্থা কেবলমাত্র চলতি অর্থবর্ষেই কার্যকরী থাকবে, একথাও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
এই নিদানের তীব্র সমালোচনা করেছেন কেরালার অর্থমন্ত্রী থমাস ইশাক। তিনি বলেন, কেন্দ্রের দেওয়া দু’টি বিকল্প প্রস্তাব মানছে না রাজ্যগুলো। বরং কেন্দ্রকেই প্রস্তাব দিতে চায় তারা, যে কেন্দ্রই ঘাটতি বাবদ অর্থ ঋণ নিক। প্রয়োজনে ঘাটতি মেটাতে দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে সেস বাড়িয়ে দেবে রাজ্যগুলো। কোভিডের সঙ্গে জিএসটি ক্ষতিপূরণের কোনও যোগ নেই বলেও জানিয়েছেন থমাস। তাই করোনা ও জিএসটি দু’টি বিষয়কে গুলিয়ে দেওয়া বেআইনি কাজ। এজন্য আইনি পদক্ষেপ করতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি তাঁর।
মোদীকে লেখা চিঠিতে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও বলেছেন, ‘মহামারীতে রাজ্যগুলোর খরচ বেড়েছে। জিএসটি চালুর পর থেকে রাজ্যের আয় তলানিতে। অন্যদিকে কেন্দ্র এখনও আয়কর, কর্পোরেশন ট্যাক্স এবং শুল্ক কর নিজেদের হাতেই রেখেছে।’ তাই কেন্দ্র যাতে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়, সে দাবি করেছেন তিনি। এই জিএসটি ঘাটতি নিয়ে কেন্দ্রের বিকল্প প্রস্তাবের প্রতিবাদ করেছে বাংলা, পাঞ্জাব, কেরালা, দিল্লী, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, পদুচেরি।