জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে কেন্দ্রের বৈঠকে থাকবেন পার্থ
হাজারও সংঘাতের মাঝে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় রাজি রাজ্য। আগামী ৭ তারিখ জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP 2020) নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আজ বিকাশ ভবনে শিক্ষক দিবসের ভারচুয়াল অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করলেন তিনি। জানালেন, ”NEP নিয়ে কেন্দ্রের ওই ভারচুয়াল বৈঠকে আমি নিজে থাকব, থাকবেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনও।” ৭ তারিখের ভিডিও কনফারেন্সে থাকবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
৩৪ বছর পর দেশে শিক্ষা ব্যবস্থার খোলনলচে বদলে দিতে তৈরি হয়েছে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি। বাংলা-সহ বহু রাজ্যের শিক্ষামহলের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে আলোতনা না করে একতরফাভাবেই নতুন নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই অভিযোগে জেরবার কেন্দ্র জানায়, সব রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করে, পরামর্শ নিয়ে তবেই তা কার্যকর হবে। সেই আলোচনার রাস্তা খুলতে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ভারচুয়াল বৈঠকের আয়োজন কেন্দ্রের।
এমনিতে একাধিক ইস্যুতে বাংলার সঙ্গে কেন্দ্রের দ্বন্দ্ব বারবারই প্রকাশ্যে আসে। জাতীয় শিক্ষানীতি অথবা মহামারী আবহে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নেওয়ায় শিক্ষামন্ত্রকের অনড় সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্প্রতি একাধিকবার দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। তবে তা সত্ত্বেও রাজ্যের পড়ুয়াদের স্বার্থে আলোচনার রাস্তায় হাঁটতে বিন্দুমাত্র যে আপত্তি নেই সরকারের, তা একেবারে স্পষ্ট করে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এদিন বিকাশ ভবনে শিক্ষক দিবসের ভারচুয়াল অনুষ্ঠানে ৪০ জনকে ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মান জানানো হয়। তাঁদের দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা, মানপত্র, চারটি বই। সেরা বিদ্যালয়ের শিরোপা পেয়েছে রাজ্যের ১৩ স্কুল।
নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি কোন রাজ্যে কীভাবে কার্যকর হবে, তা বুঝে নিতেই কেন্দ্রের এই বৈঠক। জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে প্রথম বিরোধিতা করে তামিলনাড়ু। স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, তাদের রাজ্যে এটি কার্যকর করা হবে না। বাংলার বামপন্থী ছাত্র সংগঠনও বিরোধিতায় পথে নামে। রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যমন্ত্রীও এর সমালোচনা করেন। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন একপাক্ষিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিরোধিতা করে। সেসব পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ৭ তারিখে বৈঠকে সব রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, রাজ্যপাল, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের নিয়ে ভারচুয়াল বৈঠক করবে কেন্দ্র। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নিজে তেলেঙ্গানার রাজ্যপালকে ফোন করে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন। সূত্রের খবর, তিনি ওইদিনও রাজ্যপালদের মতামত জানতে চাইবেন। আর উপাচার্যদের বক্তব্য শুনবেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী।