← পেটপুজো বিভাগে ফিরে যান
সন্ধ্যার চায়ের সাথে বানান পাম্পকিন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই
ভাতের পাতে হোক বা সন্ধেবেলায় চায়ের সঙ্গে, কুড়মুড়ে মুচমুচে ভাজাভুজি থাকলে আর কিছু লাগে না। ভাজা বলতে প্রথমেই মনে হয় আলু। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। কিন্তু এ বার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই হবে তবে কুমড়ো দিয়ে। বাড়িতে ঠিক রেস্তরাঁর মতো কুড়মুড়ে পাম্পকিন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানাবেন কিকরে, সেটাই এ বার জানার পালা।
উপকরণ
- কুমড়ো – এক থেকে দুই ফালি
- কর্নফ্লাওয়ার – এক থেকে দেড় কাপ
- পাতিলেবু
- নুন – স্বাদ মত
- চাটমশলা ও সস
প্রণালী
- কুমড়োর খোসা ছাড়িয়ে পাতলা পাতলা করে লম্বা আকারে কেটে নিন। কিন্তু খুব বেশি সরু করে কুমড়ো কাটবেন না। কুমড়োর টুকরো আধ ইঞ্চি মতো পুরু থাকবে। লম্বায় তিন ইঞ্চি রাখতে পারেন।
- এ বার কুমড়োর টুকরোগুলো কলের তলায় ধরে ভাল করে ধুয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন যাতে পাত্রের গায়ে বা কুমড়োর মধ্যে কোনও জল জল ভাব না থাকে।
- একটি পাত্রে জলের মধ্যে কিছু বরফ দিন। এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস দিন তার মধ্যে। এ বার কুমড়োর টুকরোগুলো সেই পাত্রের জলে ডুবিয়ে ফ্রিজে রাখুন।
- আধ ঘণ্টা পরে তা বার করে জল থেকে ছেঁকে তুলে নিতে হবে। অন্য একটি পাত্রে জল ঝরিয়ে নিন ভাল করে।
- কুমড়োর টুকরোগুলো ভাজার আগে একটি পাত্রে অল্প কর্নফ্লাওয়ার ও স্বাদ মতো নুন মিশিয়ে রাখুন। ভাজার আগে কুমড়োগুলো এই মিশ্রণে দিয়ে দু’হাতে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
- এ বার কড়াইয়ে তেল দিয়ে তা ফুটন্ত তাপমাত্রায় পৌঁছনো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কুমড়ো ছেড়ে আঁচ মাঝারি করে নিন।
- একে একে কুমড়োর টুকরোগুলো দিয়ে নাড়তে থাকুন। মনে রাখবেন, একটু ডুবো তেলে ভাজতে হবে।
- খুন্তি নেড়ে কুমড়ো গুলো ছাড়িয়ে দিতে হবে। খেয়াল রাখবেন, কুমড়োর টুকরো কড়াইয়ের নীচে যেন আটকে না যায়। কুমড়ো যাতে ভেঙে না যায় খেয়াল রাখতে হবে সে দিকেও। প্রথমে মাঝারি আঁচে কুমড়ো ভেজে তুলে নিতে হবে। এতে কুমড়ো সিদ্ধ হয়ে যাবে।
- ভাজা কুমড়ো তুলে টিসু পেপারে রেখে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে পেপার। তার পরে আবার আঁচ বাড়িয়ে তেলে লালচে করে ভেজে নিন চাইলে। দ্বিতীয় বার ভাজার পরে কুমড়ো সোনালি ও মুচমুচে হবে।
সার্ভিং প্লেটে কুমড়োর ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের উপরে চাটমশলা ছড়িয়ে সস দিয়ে পরিবেশন করুন।