কেন অ্যাডভাইজরি মেনে হচ্ছে না চিকিৎসা? -৬ হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা স্বাস্থ্য কমিশনের
কোভিড চিকিৎসার খরচ নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি হাসপাতালগুলি যাতে পরামর্শ মেনে চলে সে জন্য সক্রিয় হল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন। শহরের একাধিক কর্পোরেট হাসপাতালে কমিশনের অ্যাডভাইজরি মেনে চিকিৎসা পরিষেবা সংক্রান্ত খরচের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি বলে শোনা যায়। যার প্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে ছ’টি বেসরকারি হাসপাতালের বক্তব্য জানতে চাইল স্বাস্থ্য কমিশন।
বৃহস্পতিবার অ্যাপোলো গ্লেনইগলস, আনন্দপুর ফর্টিস, রুবি, আমরি মুকুন্দপুর, সিএমআরআই এবং ডিসানে পনেরো নম্বর অ্যাডভাইজরি পুঙ্খানুপুঙ্খ মেনে চলার প্রশ্নে খামতি চোখে পড়ে। ওই ছ’টি হাসপাতালের কাছেই এদিন কমিশন ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য বলেছে। ঘটনাচক্রে, মেডিকা, আর এন টেগোরের ক্ষেত্রেও নতুন অ্যাডভাইজরিতে যেভাবে খরচের তালিকা রোগীর পরিজনদের জানাতে বলেছে তা দেখা যায়নি। মেডিকার রিসেপশন কাউন্টারে কর্তব্যরত এক কর্মীর জানান, এ ধরনের ডিসপ্লে বোর্ড নেই। খরচের তালিকা সম্পর্কে জানার জন্য তিনি অ্যাডমিশন কাউন্টারে পাঠিয়ে দেন। সেখানকার এক কর্মীর বক্তব্য ছিল, ‘‘রোগীকে ভর্তির সময় আনুমানিক খরচ কত তা বিলিং ডিপার্টমেন্ট কাউন্সেলিং করে দেবেন। রেট চার্ট আলাদা করে নেই।’’ যদিও হাসপাতালের কর্মীদের বক্তব্য ভিত্তিহীন বলে জানান মেডিকা কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বক্তব্য, হাসপাতালের ঢোকার মুখ থেকে প্রতিটি টিভি মনিটরে খরচের তালিকা দেওয়া রয়েছে। আর এন টেগোরে এমার্জেন্সি ডেস্কের এক কর্মী বলেন, ‘‘খরচের তালিকা ডিসপ্লে কিছু করা নেই। বিলে তার উল্লেখ রয়েছে।’’
এ দিন দিন কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘১৫ নম্বর অ্যাডভাইজরি মানা হচ্ছে না জানতে পেরে দ্বিতীয়বার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল কমিশন। এর আগে অন্য একটি ঘটনায় ডিসানের বিরুদ্ধে এ ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছিল। অভিযোগ সত্যি হলে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে দ্রুত ওই অ্যাডভাইজরি কার্যকর করতে হবে।’