বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

তরুণ লেখকদের প্রেমে পড়ার পরামর্শ দিতেন সুনীল

September 7, 2020 | 2 min read

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন চির প্রেমিক। প্রতিভাস প্রকাশন থেকে প্রকাশিত তাঁর কথাবার্তা সংগ্রহের নাম ‘ভালবাসার জন্য আমার কাঙালপনা গেল  না’। ‘নীরা’-র জন্য লেখা সুনীলের একাধিক বহু পাঠকের মনেই আজও অনেকটা জায়গা নিয়ে আছে। মৃত্যুর এত বছর পরেও তাঁর জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি। 

বছর দুয়েক আগে সুনীল বাবুর একটি ইন্টারভিউ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কবি বেঁচে থাকতে সোশ্যাল মিডিয়ার তেমন রমরমা ছিল না। কখনোই তাঁর অংশ নেওয়া হয়নি ফেসবুক-হোয়াটস অ্যাপে। সেই সুনীলের একটি সাক্ষাৎকার ঘুরছে ফেসবুকে। সেই সাক্ষাৎকার তরুণ লেখকদের অনুপ্রাণিত করবে। সেখানে সুনীল নবীন লেখকদের প্রেমে পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন।   

সাক্ষাৎকারে সুনীল নিজের অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিয়েছেন। কবি বলেছেন, “আমি লেখককে কখনওই উপদেষ্টার ভূমিকায় রাখতে চাইনি। আমি  লেখককে গুরু-ঠাকুরের ভূমিকায় রাখতে চাইনি। আমি লেখককে পাঠকের বন্ধুর মতো রাখতে চেয়েছি। যাতে লেখক আর পাঠক একসঙ্গে চলতে পারে।” 

সহজ ভাষাতেই লিখতে পছন্দ করতেন সুনীল। তাঁর মতে, “সহজ করে লেখা খুব শক্ত ব্যাপার। তার জন্য অনেক সাধনা দরকার। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় আছে– সহজ কথা যায় না বলা সহজে। লেখার সময় প্রতিটি লাইন আগে একবার মনে মনে বলি, তারপর লিখি। কেমন শোনাচ্ছে, সাউন্ড ঠিক আছে কিনা বা দুর্বোধ্য লাগছে কিনা। তারপর লিখি।”

সেখানেই উত্তরসুরী লেখকদের উদ্দেশ্যে প্রেমে পড়ার বার্তা দেন তিনি। কবির কথায় “তরুণ লেখকদের প্রেমে পড়তে হবে। প্রেমে পড়ে ব্যর্থ হতে হবে। প্রেমে পড়ে বিয়ে-সংসার করলে লাভ নেই। প্রথম প্রেম ব্যর্থ হলে ধাক্কা লাগে, তাতে কাজ হয়।” 

অবশ্য এরপরেই তিনি বলেন শুধু প্রেমে পড়াই নয়, প্রচুর বই পড়াও তরুণ লেখকের কাজ। কারণ, ভাল লেখক হতে গেলে ভাল পাঠক হতে হয়। তাঁর কথায়, “পড়তে হবে প্রচুর। লেখক হতে গেলে পাঠক হতে হয়, প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়। না-পড়লে কোনও উপায় নেই। যারা না-পড়ে ফাঁকি দিয়ে লেখক হতে চায় তারা বেশি দূর এগোতে পারে না।”  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Sunil Ganguly

আরো দেখুন