রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

অর্থনৈতিক ভরাডুবির জন্য দায়ী কেন্দ্রের দিশাহীনতা: অমিত মিত্র 

September 8, 2020 | 2 min read

করোনা সংক্রমণের কারণে গোটা বিশ্বেই অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল। এই পরিস্থিতিতে দেশগুলির অভ্যন্তরীণ উৎপাদন যে কমবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জিডিপি বৃদ্ধির হার কমার ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থা সবথেকে খারাপ কেন? সোমবার এই প্রশ্ন তুললেন এ রাজ্যের শিল্প ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তাঁর কথায়, কেন্দ্র আসলে সম্পূর্ণ দিশাহীন। করোনা সংক্রমণের গোড়ার দিকে তারা ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অমিত মিত্রের মতে, বেশি টাকা খরচ করে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার ব্যাপারে আসলে কোনও উদ্যোগই নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। তার ফলেই জিডিপি ধাক্কা খেয়েছে ভয়ঙ্করভাবে।

জিএসটি ইস্যুতে রাজ্যের প্রতি বঞ্চনা নিয়ে দিনকয়েক আগেই সরব হয়েছিলেন অমিত মিত্র। তাঁর কথায়, অর্থনীতির ভরাডুবির দায় এখন কেন্দ্র এড়িয়ে যাচ্ছে। উল্টে ভগবানের দোহাই দিচ্ছে। অমিতবাবুর অভিযোগ, নোট বাতিল বা তড়িঘড়ি করে জিএসটি চালুর ব্যাপারটাও কি ঈশ্বরের লীলা ছিল? আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের একের পর এক পদক্ষেপ গোটা দেশের অর্থনীতিকেই ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। আর চাপের মুখে কেন্দ্র এখন ঈশ্বরের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছে।

এদিকে, অমিতবাবুর মতো জিডিপির সাম্প্রতিক পতন নিয়ে সোমবারই গভীর আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনও। তাঁর পরামর্শ, আত্মতুষ্টির খোলস ছেড়ে বেরিয়ে সরকার ও আমলাদের উচিত অর্থবহ পদক্ষেপ গ্রহণ করা। নিজের লিঙ্কড ইন পেজের একটি পোস্টে অর্থনীতি নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হন রাজন। তাঁর বক্তব্য, বর্তমান সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার জন্য আরও চিন্তাভাবনার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারকে আরও সক্রিয় হতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপের পর সরকার খোলসের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আর্থিক বৃদ্ধির হারে এই ব্যাপক পতন নিয়ে আমাদের প্রত্যেকেরই উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। ভারতে জিডিপি’র ২৩.৯ শতাংশ সঙ্কোচন হয়েছে। অসংগঠিত ক্ষেত্রের ক্ষতি হিসেব করলে এই পরিসংখ্যানটি আরও খারাপ হবে। রাজনের অভিমত, সরকার বর্তমানে বাড়তি পদক্ষেপ করতে চাইছে না। তার একটা কারণ, সরকার ভবিষ্যৎ স্টিমুলাসের জন্য রসদ বাঁচিয়ে রাখতে চাইছে। এই কৌশল আদতে পরাস্তই হচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নরের বক্তব্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত আরও বেশি করে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#GDP, #Amit Mitra

আরো দেখুন