লকডাউনে স্তব্ধ রাজ্য
সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম লকডাউনে যথারীতি স্তব্ধ রইল মহানগরী। একইভাবে স্তব্ধ ছিল দক্ষিণবঙ্গের সুন্দরবন থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের পাহাড় পর্যন্ত সমস্ত জনজীবন। সম্পূর্ণ লকডাউনের দিনেও অতি জরুরি কাজে কিছু মানুষ গাড়ি বা টু হুইলার, বা অটোরিকশতেও বের হয়েছিলেন। জরুরি চিকিৎসার জন্য কাউকে নিয়ে যেতে হয়েছে হাসপাতালে। গঙ্গার ঘাটগুলিতে পারলৌকিক কাজ পালনে ব্যস্ত ছিলেন বহু মানুষ। পুলিস সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্যজুড়ে পরিস্থিতি ছিল মোটের উপর শান্তিপূর্ণই। তবে, বিধিভঙ্গের অভিযোগে সব মিলিয়ে ২ হাজার ১৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দায়ের হয়েছে ৭৭টি এফআইআর। ২৮টি গাড়ি আটক করা হয়েছে। জরিমানা হিসেবে আদায় হয়েছে মোট ৯ হাজার ৫০০ টাকা।
এদিন বেলা ১১ টা নাগাদ বাবুঘাটের কাছে জাজেস ঘাটে স্ট্রান্ড রোডের ধারে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল দেজ মেডিকেল-হাওড়া স্টেশন রুটের একটি মিনিবাস। বাসের সামনের কাঁচে সাঁটানো সাদা কাগজে লেখা ‘ছাদ্দের কাজে বাবুঘাট যাচ্ছে’। ওই মিনিবাসে করে দক্ষিণ কলকাতার গড়চা এলাকা থেকে প্রায় ১৫ জনের একটি দল এসেছে গঙ্গার ঘাটে পারলৌকিক কাজকর্ম সারতে। বিহারের বাসিন্দা রঞ্জিত রাইয়ের মা কমলা দেবী মারা গিয়েছেন গত ২৭ সেপ্টেম্বর লকডাউনের দিনেই। রঞ্জিতবাবু জানালেন, ঘাট কামানোর দিন পরিবারের অনেক সদস্যকে আসতে হয়। তাই বাধ্য হয়ে এদিন আসার জন্য মিনিবাস ভাড়া করে পুরোহিত ও নাপিতকে সঙ্গে নিয়ে চলে এসেছেন।