বিজেপি কেন হারবে ব্যাখ্যা দিলেন ওমপ্রকাশ,‘প্রশংসনীয়’ মন্তব্য চন্দ্র বসুর!
কেন হারবে বিজেপি ব্যাখ্যা দিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র, ‘প্রশংসনীয়’ মন্তব্য চন্দ্র বসুর! লোকসভা নির্বাচনের পর বছর ঘুরেছে। লোকসভায় দেশ জুড়ে মোদী ঝড়ে কার্যত উড়ে গেছে বিরোধীরা। হাওয়া লেগেছিল এ রাজ্যেও, ২২টি আসনে তৃণমূল জিতলেও ১৮টি আসন জিতে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলেছে বিজেপি। কিন্তু বিজেপি-র এই উত্থানের কারন কি? তাহলে কি এরাজ্যে হাওয়া লেগেছে পরিবর্তনের? ভোট গ্রহনের দিনগুলোতে দেখা গেছে অনেক বুথে এজেন্টই দিতে পারেনি বিজেপি। তবুও ভোট পড়েছে বিজেপির পক্ষে!
কারন হিসেবে বলা যায় লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্যে জেতেনি বিজেপি, বরং তৃণমূল কে হুশিয়ারি দিয়েছে সাধারণ মানুষ। বলা ভাল ২০১৯ এ তৃণমূল কে ট্রেলার দেখিয়েছে সাধারণ মানুষ, বুঝিয়ে দিয়েছে বিরোধী দলের সংগঠন না থাকলেও তৃণমূল কে হারানো সম্ভব। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ড্যামেজ কন্ট্রোল করেছেন পুরোদমে। ভোট লোকসভা ভোট পরবর্তী ৩ টি উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছে তৃণমূল। আমফান পরবর্তী সময়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও গত ১ মাস কোন অভিযোগ সামনে আসেনি! কিন্তু কেন এমন হল? গ্রামবাংলার আমফান পীড়িত এলাকাতেই খোঁজ নিলে সেই উত্তর পাওয়া যাবে। নির্দিষ্ট ভাবে প্রায় ১৮ লক্ষ মানুষ আমফানের ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। সাথে ফ্রি রেশন। রেশনে জালিয়াতির একাধিক অভিযোগ উঠেছিল প্রথম দিকে। কিন্তু পরে সেই ড্যামেজ ১০০% নিয়ন্ত্রনে।
এই পরিস্থিতিতে সামনের বছর হতে চলেছে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। জিতবে বিজেপি? নজরে এল একটি গুরুত্বপূর্ণ লেখা এবং সেই লেখার পরিপ্রেক্ষিতে একটি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য। বিজেপির জেতার কতটুকু সম্ভাবনা রয়েছে তা নিয়ে নিজের ফেসবুক দেওয়ালে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র। আর সেখানে একটি মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা চন্দ্র বসু। ওমপ্রকাশ মিশ্র লিখেছেন, “২০১৯ নির্বাচনে বিজেপি ৪০.৫ শতাংশ এবং ১৮ টি আসন পেয়েছে রাজ্যে। আর সেখান থেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে ২১ সালের নির্বাচনে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার। কিন্তু তা হওয়ার নয়।” কিন্তু কেন? ওমপ্রকাশ লিখেছেন পয়েন্ট ধরে ধরে।
কেন হারবে বিজেপি ব্যাখ্যা দিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র। ১) ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে যে ভোট বিজেপি পেয়েছে তা বিজেপি-র পকেট ভোট নয়। বিজেপি-র ঝুলিতে সেই ভোট গিয়েছে বাম সহ বিভিন্ন তৃণমূল বিরোধী দল থেকে। আর এ রাজ্যের ক্ষেত্রে বিধানসভার তুলনায় লোকসভায় ভোট বেশি পাওয়ার নজির বিজেপির আগেই রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ তিনি লিখেছেন, ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৭.২ শতাংশ ভোট পেলেও ২০১৬ বিধানসভায় তা নেমে এসেছিল ১০.৫ শতাংশে।
২) ২০১৯ সালের নভেম্বরে অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনের ৬ মাস পরেই অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে বিজেপি অপমানজনক পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছিল। যদিও খড়গপুরে ৪৫ হাজার এবং কালিয়াগঞ্জে ৫৭ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। তবে করিমপুর অবশ্যই তৃণমূলের দুর্গ ছিল।
৩) উপনির্বাচনের পর থেকেই রাজনৈতিক পরিস্থিতি ফের বদলে গেছে রাজ্যে। তাছাড়া দেশের সামগ্রিক ক্ষেত্রে অর্থনীতি পরিচালনায় ব্যর্থতা, দলাদলি সবকিছুর প্রভাব পড়ছে। তাছাড়া এরাজ্যের ক্ষেত্রে নেতৃত্বহীনতাতেও ভুগছে বিজেপি। তাই গতবছরে এপ্রিল বা মে মাসে যে জনসমর্থন ছিল তা প্রতিমূহুর্তে একটু একটু করে হারাচ্ছে বিজেপি। ওমপ্রকাশ মিশ্রের এই ব্যাখ্যা পড়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা চন্দ্র বসু। তিনি লিখেছেন, “আপনার লেখা প্রশংসনীয়!… আমি এই বিষয়ে এখনই মন্তব্য করব না!”