করোনা আবহে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা, মুক্তির আশায় কলকাতায় ‘হলুদ বিপ্লব’
অবসাদ (Depression) বাড়িয়ে দিয়েছে কোভিড। একদিকে লকডাউন. অন্যদিকে রুটিরুজিতে টান। কোভিড আক্রান্ত হলে তো কথাই নেই। চরচর করে বাড়ছে অবসাদের পারদ। এ রাজ্যেও কোভিড আক্রান্ত বেশ কয়েকজন অবসাদের ছোবলে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। এমতবস্থায় অবসাদমুক্তির জন্য কালার-থেরাপির পরামর্শ দিলেন শহরের মনোবিজ্ঞানী ও সাইকিয়াট্রিস্টরা। সেই পরামর্শ মেনে আজ, বৃহস্পতিবার হলুদ হবে কলকাতা (Kolkata)। ‘গো ইয়েলো কলকাতা ২০২০’। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, হলুদ আশার প্রতীক। মনের গহীনে আনন্দের ফুল ফোটায়। তাই হতাশাকে বধ করতে বৃহস্পতিবার ‘বিশ্ব আত্মহত্যা-বিরোধী দিবস’ ( World Suicide Prevention Day) -এ হলুদ রং ভাল দাওয়াই হতে পারে।
বিশ্বে প্রতি বছর ৮ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যা (Suicide) করেন। যার অর্থ প্রতি ৪০ সেকেন্ডে নিজেকে শেষ করছেন একজন। কোভিড পর্বে এই প্রবণতা বেড়েছে। মনের রোগ নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছে ‘লাইফলাইন ইন্ডিয়া’। তাদেরও অভিজ্ঞতা এমনই। তারাই হলুদ-বিপ্লবের পরিকল্পনার নেপথ্য কারিগর। সংস্থার তরফে প্রতিষ্ঠাতা সুখসাম সিং জানিয়েছেন, ১৮-৪৫ বছর বয়সিরাই সবচেয়ে বেশি ফোন করেন লাইফলাইনে। কোভিড পর্বে কলের সংখ্যা ৬০ শতাংশ বেড়েছে। মানুষ আগের চেয়ে বেশি সময় নিয়ে ফোন করছেন। আগে গড়ে ১৫—২০ মিনিট লাগত। এখন ৩০-৪০ মিনিট।
হলুদ—বিপ্লবকে সমর্থন করেছেন অভিনেতা সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় ও পার্নো মিত্র, গায়িকা উষা উত্থুপের মতো ব্যক্তিত্ব। এঁরা প্রতে্যকেই এদিন হলুদ-বিপ্লবে সামিল হচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেইমতো নিজেদের প্রোফাইল ছবিতে বদল আনছেন। হোয়াটসঅ্যাপে বদলাচ্ছেন ডিপি। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, হার্টের রোগের মতোই মনের রোগও গুরুত্ব দিতে হবে। চিকিৎসা করাতে হবে। অবসাদগ্রস্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে যেতে হবে মনোবিজ্ঞানীদের কাছে। অসুবিধা থাকলে হেল্প লাইন নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে। ফোনেই নেওয়া যেতে পারে প্রাথমিক উপদেশ। কোভিড পর্বের অবসাদ কাটাতে রাজ্য সরকারও স্বাস্থ্যভবনে হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে।