পুজোর আগে দরাজ রাজ্য, দেওয়া হবে অগ্রিম পেনশন
পুজোর আগে রাজ্যের লক্ষাধিক বৃদ্ধ-অশক্ত চাষি ও মৎস্যজীবীদের জন্য সুখবর! উৎসবের মরশুমে তাঁদের দু’মাসের অগ্রিম পেনশন দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। মোট দু’হাজার টাকা। আগামী অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসের পেনশন বাবদ এই অগ্রিম বরাদ্দ করেছে নবান্ন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে করোনা আবহে প্রবীণ প্রান্তিক মানুষদের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের জন্যই এই জনমুখী সিদ্ধান্ত। অর্থদপ্তর সূত্রের দাবি, অগ্রিম পেনশনের জন্য প্রায় ২২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই ৮৭ হাজার ৯১১ জন বৃদ্ধ চাষি ও ২০ হাজার প্রবীণ মৎস্যজীবীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢুকে যাবে।
আগে বৃদ্ধ এই চাষি ও মৎস্যজীবীদের মাসিক ৭৫০ টাকা পেনশন দেওয়া হতো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করেন। করোনা পর্বে ষাটোর্ধ্ব এই মানুষদের কাছে যা ছিল মহার্ঘ। এবার দুর্গাপুজার আগেও ওই পরিবারগুলির মুখে হাসি ফোটাতে মানবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন।
সূত্রের দাবি, চাষিদের পেনশনের জন্য ১ লক্ষের কোটা বেঁধে দিয়েছে অর্থদপ্তর। তবে প্রায় প্রতি মাসেই জেলায় জেলায় অনেক প্রবীণ চাষি মৃত্যু হয়। চলতি মাসে পেনশন প্রাপক হিসেবে রাজ্য সরকারের কাছে ৮৭ হাজার ৯১১ জনের নাম রয়েছে। খুব শীঘ্রই নতুন নাম তোলা হবে বলে কৃষিদপ্তর সূত্রের খবর। এই পেনশন পাওয়ার মূল শর্ত—চাষিদের বয়স ৬০ বছরের বেশি হতে হবে। সংশ্লিষ্ট কৃষি জমির সরকারি নথি থাকা প্রয়োজন। তা না থাকলে জেলার ভূমি রাজস্ব আধিকারিক কিংবা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
অন্যদিকে, রাজ্য সরকার মৎস্যজীবীদের জন্যও ২০ হাজারের কোটা বেঁধে দিয়েছে। মাস দুয়েক আগে পর্যন্ত এই পেনশন পেতেন ৮ হাজার ৫০০ জন বৃদ্ধ মৎস্যজীবী। বর্তমানে অবশ্য সরকারের বেঁধে দেওয়া কোটা পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। নথিভুক্ত কোনও মৎস্যজীবী মৃত্যু হলে তবেই পরবর্তী নাম আপডেট করা হবে। এই পেনশন পাওয়ারও শর্ত, আবেদনকারীর বয়স ৬০ বছরের বেশি হতে হবে। বিডিও কিংবা পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে মৎস্যজীবী হিসেবে স্বীকৃতি নেওয়া আবশ্যক।