মে মাসেই দেশে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন ৬৪ লক্ষ! চাঞ্চল্যকর দাবি ICMR-এর সেরো সার্ভেতে
সম্ভবত মে মাসেই দেশের প্রায় ৬৪ লক্ষ মানুষ করোনার কবলে পড়েছিলেন। গ্রামাঞ্চলে করোনা সংক্রমণের হার ছিল সবচেয়ে বেশি। আর COVID-19 সবচেয়ে বেশি আঘাত হেনেছিল দেশের যুবসমাজের মধ্যে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআরের (ICMR)করা সেরো সার্ভেতে উঠে এল এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মে মাসের ১১ তারিখ থেকে ৪ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ২৮ হাজার মানুষের উপর এই সমীক্ষা চালায় আইসিএমআর। মাস দুয়েক আগেই এই সমীক্ষার রিপোর্ট আসার কথা ছিল। কিন্তু তা প্রকাশিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। এই সমীক্ষায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। সেরো সার্ভেতে দাবি করা হয়েছে, সম্ভবত মে মাসেই দেশের মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ০.৭৩ শতাংশ মানুষ এই ভাইরাসের কবলে পড়েছিলেন।
সংখ্যাটা ৬৪ লক্ষ।
SARS-CoV-2’র সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়েছিল ১৮-৪৫ বছর বয়সের নাগরিকদের মধ্যে। এই বয়সের নাগরিকদের সেরোপজিটিভিটি ৪৩.৩ শতাংশ। অর্থাৎ এই বয়সের যতজন নাগরিকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ৪৩.৩ শতাংশের শরীরেই মিলেছে করোনার অ্যান্টিবডি। একইভাবে ৪৬ থেকে ৬০ বছরের নাগরিকদের মধ্যে ৩৯.৫ শতাংশের শরীরে মিলেছে অ্যান্টিবডি। ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে অ্যান্টিবডি মিলেছে ১৭.২ শতাংশের শরীরে। ১৮ বছরের নিচে কারও নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
দেশজুড়ে হওয়া ওই সেরো সার্ভেতে বলা হয়েছে, মে মাসে গ্রামীণ এলাকার প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সেরোপজিটিভিটি ৬৯.৪ শতাংশ। অর্থাৎ গ্রামের এলাকার প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশের শরীরেই মিলেছে করোনার অ্যান্টিবডি। শহরের বসতি এলাকায় এই সেরোপজিটিভিটি ১৫.৯ শতাংশ এবং শহরের অন্য অঞ্চলে সেরোপজিটিভিটি ১৪.৬ শতাংশ।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, যে সমস্ত জেলায় মে মাস পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য বা একেবারে কমের দিকে ছিল, সেই জেলাগুলিতে আরও বেশি পর্যবেক্ষণ এবং আরও বেশি পরীক্ষার প্রয়োজন। স্পষ্টতই এই এলাকাগুলিতে যে করোনা পরীক্ষা কম হয়েছে, তারই উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে ওই সমীক্ষায়।