নাড্ডার মিথ্যাচার! হিসেব দিল তৃণমূল
দলের রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকে একগুচ্ছ ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। ২০২১-এ তৃণমূলের সরকারকে ‘উপড়ে’ ফেলার ডাক দিয়েছেন তিনি। তারই পাল্টা একের পর এক বাণে বিজেপিকে বিদ্ধ করলেন দলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন।
আয়ুষ্মান ভারত ও পিএমকিসান যোজনা প্রকল্পের সুবিধা থেকে বাংলার মানুষকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঞ্চিত করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন জেপি নাড্ডা। নানা কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিজের নামে চালাচ্ছেন বলেও দাবি করেন। তার পাল্টা স্বাস্থ্য, রেশন ও কৃষিক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি তুলে ধরেন ডেরেক।
ডেরেক বলেছেন, ২০১১ সালেই তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে রাজ্যে এইমসের দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রায়গঞ্জে জমি সমস্যা থাকায় কল্যাণীর প্রস্তাব দেন। কল্যাণীতে ১৮০ একর জমিও দেওয়া হয়েছে। ৪১ কোটি টাকা খরচ করে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে ৪ লেনের রাস্তা তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। ১১ কোটি খরচে বিদ্যুদয়ন। জল সরবরাহ ব্যবস্থায় খরচ করা হয়েছে ১১৬কোটি।
রেশনের অভিযোগ নিয়েও জবাব দিয়েছেন ডেরেক। তিনি বলেছেন, খাদ্যসাথী প্রকল্পে রাজ্যের ১০ কোটি মানুষকে দেওয়া হচ্ছে রেশন। কোভিড পরিস্থিতিতে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বিনামূল্যে চাল-গম।
রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে ডেরেকের দাবি, ২০১৬ সালের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের নকল আয়ুষ্মান ভারত। এই প্রকল্পে ১০০ শতাংশ অর্থ দেয় রাজ্য সরকার। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ৬০ শতাংশ দেয় কেন্দ্র, বাকি রাজ্য। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রাজ্যে উপকৃত ৭.৫ কোটি মানুষ। সেখানে আয়ুষ্মান প্রকল্পে গোটা দেশে ১২.৫ কোটি ই-কার্ড দেওয়া হয়েছে।
কৃষক উন্নয়ন নিয়ে তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, জুন থেকে অগাস্ট- এই ৩ মাসে কৃষকদের উন্নয়নে ১২ লক্ষ ক্রেডিট কার্ড বিলি করেছে রাজ্য সরকার। শস্য বিমার সুবিধাও পান বাংলার চাষিরা।