ভারত-চীন বৈঠক ব্যর্থ, সংঘাত তীব্র
চীন ও ভারতের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে সামনে এল পাঁচদফা সূত্র। এতে জওহরলাল নেহরু ও মাও সে তুংয়ের পঞ্চশীল নীতির কথা মনে পড়লেও লাদাখ সমস্যা সমাধানে মেলেনি কিছুই। বরং বিগত আড়াই মাস ধরে চলে আসা আলোচনারই পুনরাবৃত্তি। কোনও নতুন রফা ফর্মুলার অভিমুখে যায়নি এই নয়া সূত্র। লাদাখে চরম সীমান্ত সংঘাতের আবহ।
প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে ভারত এবং উত্তর প্রান্তে চীনের সেনারা একের পর এক পাহাড় চূড়া দখল করার প্রাণপণ প্রতিযোগিতায় নেমেছে। দক্ষিণ প্রান্তের পাহাড় চূড়ার সিংহভাগই ভারতের দখলে। তাই আগ্রাসী চীন উত্তর প্রান্তের পাহাড় দখলে ক্রমেই অগ্রসর হচ্ছে। আর এর জেরেই লাদাখে ক্রমেই পরিস্থিতি ঘোরালো হচ্ছে। মস্কোর বৈঠক একপ্রকার ব্যর্থই বলা যায়। এই অবস্থায় দু’পক্ষই বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে।
বৃহস্পতিবার মস্কোয় ভারত ও চীনের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের পর লাদাখের চুশুলে ব্রিগেড কমান্ডার স্তরের বৈঠকটি হয়। আবার লেফটেন্যান্ট কমান্ডারদের মধ্যে বৈঠক হবে আগামী সপ্তাহে। এরকমই সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত জুন মাস থেকেই এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। প্রতিটি বৈঠকেই বলা হয়, উভয়পক্ষই সেনা সরিয়ে নেবে। কিন্তু চীন কোনও সিদ্ধান্তই গ্রাহ্য করে না। নতুন করে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করার চেষ্টা করে। এই অবস্থায় ভারতীয় সেনা চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক প্রোটোকল মেনে বৈঠক চালিয়ে গেলেও সেনা মোতায়েন বাড়িয়েই চলেছে। আর একইভাবে দখল করেছে একের পর এক পাহাড় চূড়া।
মস্কোয় দু’দেশের আলোচনায় সামনে উঠে আসা পাঁচ দফা নীতির উপজীব্য হল, আলোচনা, দ্রুত সেনা সরানো, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, টেনশন কমানো এবং সংঘাত এড়ানো। এই প্রতিটি সিদ্ধান্তই আগেও গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। তাই বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনা থেকে বিশেষ কিছু পাওয়ার আছে বলে ভারত মনেই করছে না। এদিকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।