মাদক যোগে কঙ্গনা এ বার তদন্তের মুখে
মাদক যোগে তদন্ত শুরু হতে চলেছে বলিউডের অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ শুক্রবার বিধানসভায় বলেন, কঙ্গনার প্রাক্তন প্রেমিক অধ্যয়ন সুমন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন— ‘‘২০১৬ সালে একটি পার্টিতে অভিনেত্রী নিজে কোকেন নিয়েছেন, তাঁকেও নেশা করার জন্য পীড়াপীড়ি করেছেন। এর তদন্ত হবে।’’ এর পরেই মহারাষ্ট্র সরকার চিঠি দিয়ে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয় মুম্বই পুলিশকে। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্দেশ মেনে তারা অচিরেই তদন্ত শুরু করছে। কঙ্গনা ও অধ্যয়নকে তলব করা হতে পারে।
মহারাষ্ট্রের শাসক দল শিবসেনা বনাম বিজেপি সমর্থিত কঙ্গনার লড়াই যে সহসা মিটছে না, শুক্রবার তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। শিবসেনার প্রবীণ নেতা ছগন ভুজবল দলের কিছুটা সমালোচনা করেই আজ বলেন, ‘‘কঙ্গনার মন্তব্য নিয়ে এমন প্রতিক্রিয়া না-দেখালেই ভাল হত। লোকে তার কথা ভুলে যেত।” কিন্তু কঙ্গনা যে নিজেই বিষয়টিকে মেটাতে রাজি নন, বরং কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে আক্রমণ করে ঘটনায় জাতীয় রাজনীতির রং দিতে চান, তা পরিষ্কার।
কালই তিনি শিবসেনাকে ‘সনিয়া-সেনা’ তকমা দিয়ে সে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার পরেও কংগ্রেস সভানেত্রী প্রতিক্রিয়া না-জানানোয় খোলাখুলি সনিয়াকে আক্রমণ করে আজ টুইট করেন কঙ্গনা। তার আগেই হিমাচলপ্রদেশের মানালিতে অভিনেত্রীর মা আশা রানাউত কঙ্গনাকে ‘পাশে দাঁড়ানো’র জন্য বিজেপি দল, নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তার পরেই কঙ্গনা এক ঝাঁক টুইটে সনিয়াকে আক্রমণ করেছেন।
কঙ্গনার অভিযোগ, মহারাষ্ট্র সরকারে কংগ্রেসও শরিক। ‘তাঁর আদর্শ পুরুষ’ বালসাহেব ঠাকরের শিবসেনা এখন আর ‘সেই শিবসেনা’ নেই। ক্ষমতার জন্য কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে আদতে কংগ্রেস-ই হয়ে গিয়েছে। তাই ‘সরকারের হাতে তাঁর হেনস্থা’র জন্য আসলে সনিয়াই দায়ী।