মাদক: বলিউডকে সমন পাঠাতে পারে এনসিবি
মাদক পাচার কাণ্ডে শেষমেশ জামিনের আবেদন বাতিল হল রিয়া চক্রবর্তী এবং ভাই সৌভিক সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের। সূত্রের খবর, অভিনেত্রীর কাছ থেকে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বলিউডের প্রথম সারির বহু অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজকের হদিশ পেয়েছেন যাঁরা মাদক নেন বা নানাভাবে মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত। এরমধ্যে ২৫ জনের এ-লিস্ট বানিয়ে তাঁদের সমন পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিবি।
কেন্দ্রীয় সংস্থার সূত্রে শুক্রবার এমন খবর নিয়ে বলিউডে চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার রিয়া গ্রেপ্তারের পরই বোঝা গিয়েছিল যে, তাঁর জামিন এখনই মঞ্জুর করা নাও হতে পারে। এই ক’দিনে তিনি বলিউডের মাদক যোগ নিয়ে বহু তথ্যই দিয়েছেন। তাই মাদক মামলায় রুপোলি জগতের মাথাদের সমন পাঠানোর আগে যে রিয়ার কাছ থেকে পোক্ত তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা চালানো হবে, সেটাই স্বাভাবিক।
এদিন মুম্বই কোর্টে মামলার শুনানির সময় রিয়ার আইনজীবী দাবি করেন, মাদক সংক্রান্ত সব তথ্যই স্বীকার করেছেন অভিনেত্রী এবং তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। তিনি মাদক পাচারেও জড়িত নন। তাই তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হোক। রিয়ার আইনজীবী এই অভিযোগও করেছেন যে, তাঁর মক্কেলকে জোর করে অনেককিছু বলানোর চেষ্টা করছে এনসিবি।
এদিকে এনসিবি আইনজীবীরা পাল্টা দাবি করেন, জামিনে ছাড়া পেলে অভিযুক্ত তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করতে পারেন এবং ক্ষমতা ও টাকার ব্যবহার করে মামলার সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। সে কারণেই তাঁর জামিন নামঞ্জুর করা হোক। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর রিয়া, সৌভিক সহ আরও আটজন ধৃতের জামিনের আবেদন নাকজ করে আদালত। রিয়াকে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত তাঁর ঠাঁই মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেল।
এদিকে রিয়ার বয়ানের ভিত্তিতে বলিউডের যে রাঘব বোয়ালদের খোঁজ এনসিবি পেয়েছে তাঁদের সমন পাঠানোর আগে আরও বেশি নিশ্চিত হতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এই নিয়ে দিল্লিতে এনসিবির দুই শীর্ষ আধিকারিক রাকেশ আস্থানা এবং কেপিএস মালহোত্রা এদিন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এর সঙ্গে সিনেমা জগতের তাবড় তাবড় কলাকুশলীরা যুক্ত, সেই খবর তদন্তকারীদের কাছে রয়েছে।
তাই কীভাবে এহেন হাই প্রোফাইলদের বাগে আনা যায় এবং কীভাবে তদন্ত এগবে সেটা ঠিক করাই মূল চিন্তা এনসিবির। আদতে বলিউডে কীভাবে মাদক পাচার হয়, সেটা খুঁজে বের করারই লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা।