দেশ বিভাগে ফিরে যান

শিবসেনা নেতাকে ফোনে হুমকি, ধৃত বাংলার যুবক

September 12, 2020 | 2 min read

আমি দাউদ ইব্রাহিমের ‘টিম মেম্বার’ বলছি। সুশান্ত সিং রাজপুত ইস্যু থেকে নিজেকে সরিয়ে নিন, না হলে ফল ভালো হবে না। আর কঙ্গনা রানাওয়াতের সঙ্গে যা করা হচ্ছে, তাও ঠিক হচ্ছে না। স্বঘোষিত দাউদ সঙ্গীর কল পেয়ে কিছুটা ঘাবড়েই গিয়েছিলেন শিবসেনার মুখপাত্র পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ সঞ্জয় রাউত। ফোনের ওপারে গলাটা বেশ ভারী ছিল। শিবসেনা নেতা কালক্ষেপ না করে সরাসরি বিষয়টি জানান মুম্বই পুলিসের সন্ত্রাস দমন শাখাকে। তারা রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা রুজু করে।

তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, এটি ভিওপি কল। তাই কোনও নম্বর ওঠেনি, নাম দেখা যায়নি। পুলিস এবার আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করা শুরু করে। জানা যায়, ফোনটি করা হয়েছে কলকাতা থেকে। ল্যাপটপ ব্যবহার করা হয়েছে। খোঁজ করতে গিয়ে দেখা যায়, পলাশ বসু নামে এক ব্যক্তি ফোনটি করেছে। মুম্বই পুলিশের একটি টিম কলকাতায় আসে। কলকাতা পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে। জানা যায়, পলাশের বাড়ি যাদবপুরের রসা রোডে। এরপর সেখানে হানা দেয় পুলিস।

পলাশকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হয় ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল সহ অন্য সামগ্রী। পলাশ জানায়, সে কঙ্গনার ভক্ত। অভিনেত্রীর উপর যে ধরনের আচরণ করা হচ্ছে, তা সে মেনে নিতে পারেননি। সেই সঙ্গে শিবসেনা সুশান্তের কেস চেপে দিতে চাইছে। সবমিলিয়ে ক্ষিপ্ত হগেই সে ফোনটি করেছে। পুলিস জেনেছে, পলাশ আগে দুবাইতে থাকতো। সেখানকার একটি জিমে ট্রেনারের কাজ করত। কলকাতায় ফিরেও জিম ট্রেনারের কাজই করছিল পলাশ। শুক্রবার তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়।

পলাশের আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা বলেন, তাঁর আইডি হ্যাক করে অন্য কেউ এই কল করেছে। তার সঙ্গে দাউদ এবং কঙ্গনার কোনও সম্পর্ক নেই। সরকারি আইনজীবী বলেন তিনি যা কাজ করেছেন তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। সওয়াল শেষে বিচারক পলাশকে ট্রানজিট রিমান্ডে মুম্বই নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন।  আলিপুর আদালতে তোলা হচ্ছে ধৃতকে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Shiv Sena

আরো দেখুন