ভ্রমণ বিভাগে ফিরে যান

একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন বেথুয়াডহরী 

September 14, 2020 | < 1 min read

বেথুয়াডহরি একটি সুন্দর বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য। নদিয়া জেলায় অবস্থিত| ১৯৫৮-৫৯ সালে এই বনভূমির সৃজনকাজ শুরু হয়। ১৯৮০ সালে সরকারিভাবে বন্যপ্রাণ  অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষিত হয়। এর মোট আয়তন ১.২১ বর্গকিমি। নদিয়ার বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে ভ্রমন পিপাসুদের নতুন ঠিকানা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যভরা মনোরম এবং শান্ত পরিবেশ সাথে পরিযায়ী পাখি ও বিভিন্ন পশু পাখিদের সমারহ টানছে পর্যটকদের।

সংরক্ষিত বনের ফটক দিয়ে ঢুকতেই প্রকৃতিবীক্ষণ কেন্দ্র, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের নামে নামাঙ্কিত। শাল, সেগুন, মেহগনি আর অর্জুনের মতো পরিচিত গাছের জঙ্গলে গাঁ জড়াজড়ি করে মিশে আছে গাব, টুন, নাগকেশর, পিয়াশাল, হামজাম ইত্যাদি। এমনকী কবি জীবনানন্দের প্রিয় গাছ হিজলও আছে। তবে বনপথটি ইটবাঁধানো। পথের দু’ধারে বৃক্ষসারি যেন মাথায় ছাতা ধরে থাকে। বনপথ তাই ছায়াপথ। পথ সোজা নিয়ে আসে তিন রাস্তার মোড়ে – বাঁ দিকে ঘড়িয়াল পুকুর আর ডান দিকে কচ্ছপের পুকুর।

বেথুয়ার এই জঙ্গলের প্রধান আকর্ষণ চিতল হরিণ| একসাথে অনেক হরিণ দেখার সুযোগ মিলবে এখানে| এছাড়া দেখা যাবে শজারু, মেছোবিড়াল, বনবিড়াল, বুনো খরগোশ,ময়ূর,ঘড়িয়াল, বৃহদাকার পাইথন সাপ, বেজি, ভাম ইত্যাদি। আছে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, ময়ূর, বাজ, পেঁচাও। তা ছাড়া বেথুয়াডহরি বিখ্যাত তার বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতির জন্য। জঙ্গলের ভিতরে বনবাংলোয় রাত কাটানো যায়।

কি ভাবে যাবেন

শিয়ালদা থেকে লালগোলাগামী ট্রেনে বেথুয়াডহরী আড়াই থেকে সোয়া তিন ঘণ্টার পথ। সড়কপথে কলকাতা থেকে বেথুয়াডহরীর দূরত্ব ১৩৬ কিমি। এসপ্ল্যানেড থেকে বাসে যেতে পারেন। গাড়ি ভাড়া করেও যেতে পারেন। পথ বারাসত-জাগুলিয়া-চাকদা-রানাঘাট-কৃষ্ণনগর হয়ে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Travelling, #Bethuadahari

আরো দেখুন