ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুজো কমিটির সাথে আলোচনায় পুলিশ
‘কার্ফু-গুজব’ উড়িয়ে পুজো প্রস্তুতিতে তৎপর হয়ে উঠল নবান্ন। উদ্যোগী কলকাতা পুরসভাও। প্রাথমিক পর্যায়ে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে পুলিস-প্রশাসনের নিবিড় সমন্বয় গড়ে তুলতে চাইছে রাজ্য সরকার। লক্ষ্য একটাই, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব-ঐতিহ্যকে ধরে রাখা। সম্প্রতি নবান্নের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা গিয়েছে রাজ্যের প্রতিটি থানায়। তাতে বলা হয়েছে, অবিলম্বে জেলার বড় পুজো কমিটিগুলির একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। সেই মতো তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে স্থানীয় থানা। অন্যদিকে, শনিবার কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে পুজো সংক্রান্ত একপ্রস্থ আলোচনা সেরেছেন পুর-কমিশনার বিনোদ কুমার। আগামী মঙ্গলবার পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম চূড়ান্ত বৈঠকে বসবেন। সরকারি এই তৎপরতাতেই স্পষ্ট, রাজ্যের প্রধান উৎসবে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না ভাইরাস। পুজো হচ্ছেই। তবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
পুজোর বাকি আর ৩৯ দিন। কিন্তু এখনও তেমন প্রস্তুতি শুরু হয়নি কোথাও। মণ্ডপে কীভাবে কোভিডের মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে দিশাহারা প্রতিটি পুজো কমিটি। সরকারি তথ্য বলছে, কলকাতায় কমবেশি তিন হাজারের মতো পুজো হয়। বাকি রাজ্যের পুর ও পঞ্চায়েত এলাকায় ছোট-বড় পুজোর সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। সর্বত্র ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং ভাইরাসের ছোঁয়াচ বাঁচাতে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে পর্যায়ক্রমে বৈঠক করে পূর্ণাঙ্গ একটি রূপরেখা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিসকে। সেই ‘গাইডলাইন’ কেমন হবে, তার একটা ইঙ্গিতও মিলেছে নবান্ন সূত্রে। এতদিন পুজোয় পুলিসের বড় দায়িত্ব ছিল মণ্ডপে মণ্ডপে বিক্ষিপ্ত ভিড়কে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা। এবার পুলিসের কাজ হবে ভিড় যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা। এবং তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সামাজিক দূরত্ববিধি পালনের নির্দেশিকা মেনে।
এদিকে, কলকাতায় শহরের প্রায় ২৫০টি পুজো পার্ককেন্দ্রিক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও পার্ক খোলার অনুমতি দেয়নি নবান্ন। ফলে পুরসভার হাত-পা বাঁধা। এই অবস্থায় পুজো কমিটিগুলি পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছে। সমস্যা মেটাতে স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।