রাস্তায় ট্যাক্সিচালকের কটূক্তি ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, পুলিশে দিলেন মিমি
ট্যাক্সি থেকে কটূক্তি এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করায় গাড়ি থেকে নেমে সোমবার বেশি রাতে এক ট্যাক্সিচালককে পুলিশের হাতে দিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
ঘটনার সূত্রপাত মিমি জিম থেকে বাড়ি ফেরার সময়। ওইদিন দুপুরে বালিগঞ্জ এবং গড়িয়াহাটের মাঝামাঝি এলাকায় ট্র্যাফিক সিগনালে যখন মিমির গাড়ি দাঁড়িয়েছিল, তখন একটি ট্যাক্সি তাঁর গাড়িকে ওভারটেক করে। মিমি কাচ নামিয়েছিলেন। তখনই তিনি লক্ষ্য করেন, পাশে দাঁড়ানো ট্যাক্সিটির চালক তাঁর দিকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করছে। সটান গাড়ি থেকে নামেন মিমি। ট্যাক্সিচালককেও টেনে নামান। ধমকে বলেন, তাকে পুলিশে দেওয়া হবে। ততক্ষণে রাস্তায় লোক জমে গিয়েছে।
এরপর মিমি যোগাযোগ করেন পুলিশের সঙ্গে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে ঘটনা জেনে অভিযুক্ত চালকের খোঁজ শুরু করে। রাতেই তাকে গ্রেফতারও করা হয়। ঘটনাচক্রে, ওইদিন মিমির দেহরক্ষী তাঁর সঙ্গে ছিলেন না। মঙ্গলবার মিমি বলেন, ‘‘সরকারি গাড়ি দেখেও যদি এক ট্যাক্সিচালক তার আরোহীকে উদ্দেশ্য করে প্রকাশ্যে এমন অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও মন্তব্য করতে পারে, তা হলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হতে পারে!’’ মিমি জানান, সে কারণেই তিনি কালক্ষেপ না করে গাড়ি থেকে নেমে প্রতিবাদ করেন এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান।
পুলিশ এদিন জানায়, সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ নাগাদ বালিগঞ্জ ফাঁড়ির কাছে ক্রমাগত হর্ন দিতে দিতে মিমির গাড়িকে ওভারটেক করে একটি ট্যাক্সি। মিমি গাড়ি থেকে নেমে ট্যাক্সিটি দাঁড় করান। তখন ট্যাক্সিচালক মিমির উদ্দেশে অনবরত কটূক্তি করে। অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিও করে। সাংসদ দ্রুত কর্তব্যরত সার্জেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
পুলিশের বক্তব্য, ওই সার্জেন্ট আধ ঘণ্টার মধ্যে ট্যাক্সি-সহ চালককে আটক করেন। ওই চালকের নাম দেবা যাদব। বয়স ৩২ বছর। তাকে গ্রেফতার করা হয় বাইপাসের ধারে আনন্দপুর থানা এলাকা থেকে। ধৃতের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, অশ্লীল ইঙ্গিত এবং কটূক্তির ধারায় গড়িয়াহাট থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও মিমি এমন প্রতিবাদী ভূমিকায় নেমেছেন। বছর চারেক আগে এক পথচারীকে একটি বাইক ধাক্কা মেরে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে দেখে মিমি গাড়ি থামিয়ে রুখে দাঁড়ান। বাইক আরোহীকে থামিয়ে তাকে রাস্তাতেই নামিয়ে দু-চার ঘা দিয়ে পুলিশ ডাকেন। পরে দেখা যায়, ওই বাইকচালক মত্ত অবস্থায় ছিল।