ভুয়ো খবরের জেরেই পরিযায়ীরা তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন, সংসদে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
ফের পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Workers) নিয়ে বিপাকে কেন্দ্র। সংসদে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, ভুয়ো খবরের ফাঁদে পড়েই তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁর এহেন মন্তব্যের পরই ফের বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র সরকার।
মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদ মালা রায় লিখিতভাবে জানতে চেয়েছিলেন, কেন লক্ষ-লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে হল? লকডাউনের (Lockdown) আগে কেন কেন্দ্র সরকার কোনও ব্যবস্থা নিল না? প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, “লকডাউনের সময় ভুয়ো খবরের জেরে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকরা তাড়াহুড়ো করে বাড়ি ফিরতে চাইছিলেন। তাঁরা ওই গুজবে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন।” এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, “নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সরবরাহ নিয়ে চিন্তা পড়েছিলেন তাঁরা।” তাঁর আরও দাবি, কেন্দ্র সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থাই নিয়েছিল। লকডাউন চলাকালীন প্রত্যেক দেশবাসী যাতে সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পায়, তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এমনকী রাজ্যগুলিকেও তেমন নির্দেশ দিয়েছিল। নিত্যানন্দ রাইয়ের আরও দাবি, “২৮ মার্চ থেকে রাজ্যগুলি বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলের অর্থ ব্যবহার করে পরিযায়ী শ্রমিকদের অস্থায়ী থাকা, খাওয়ার বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমনকী, কেন্দ্রও ৩ এপ্রিল ১১ হাজার ৯২ কোটি টাকা রাজ্যগুলিকে দিয়েছিল।” কেন্দ্রের এই উত্তরে বিরোধীরা যে মোটেও সন্তুষ্ট নয়, ত বলাই বাহুল্য।
সোমবার থেকে ১৮ দিনের জন্য শুরু হয়েছে বর্ষাকালীন অধিবেশন (Monsoon Session)। মহামারীর মাঝেই কোভিড সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম মেনে সকাল ৯ টায় লোকসভায় (Lok Sabha) অধিবেশন শুরু হয়। শোকপ্রস্তাবের পর একঘণ্টার জন্য অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। পরে দেশের করোনা পরিস্থিতি, লকডাউন নিয়ে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। সেখানেই এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।
লকডাউনের সময় বাড়ি ফেরার পথে কতজন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, প্রতিটি রাজ্যে কতজন শ্রমিক ফিরেছে, সে সম্পর্কে কেন্দ্রের কাছে কি বিস্তারিত তথ্য আছে? জবাবে শ্রম মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সন্তোষ কুমার গাঙ্গওয়াড় জানান, লকডাউনের সময় কতজন শ্রমিক মারা গিয়েছে, তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে কোনও বিস্তারিত তথ্য নেই। তাই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই উঠছে না।