রবীন্দ্র সরোবরে করা যাবে না ছটপুজো, নির্দেশ জাতীয় পরিবেশ আদালতের
জাতীয় পরিবেশ আদালতে খারিজ কেএমডিএ’র আরজি। বৃহস্পতিবার আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, রবীন্দ্র সরোবরে করা যাবে না ছটপুজো (Chhath Puja)। কারণ, শর্তসাপেক্ষে ছটপুজো হলেও পরিবেশ নষ্ট এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হতে পারে। তাই ঐতিহ্যবাহী রবীন্দ্র সরোবরে করা যাবে না ছটপুজো।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৭ সালে। সে বছর পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত রবীন্দ্র সরোবরে (Rabindra Sarobar) ছটপুজোর বিরোধিতায় মামলা রুজু করেন। জাতীয় পরিবেশ আদালত সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও গঠন করে। এছাড়াও জীববৈচিত্র্যের কথা মাথায় রেখে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। রবীন্দ্র সরোবরে পুলিশ প্রহরা এবং প্রতিটি গেটে নিরাপত্তার বন্দোবস্তও করা হয়। গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন কেএমডিএ’র (KMDA) কর্মীরাই। তবে তা সত্ত্বেও ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো হয়। পুলিশ প্রহরা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে একদল মানুষ রবীন্দ্র সরোবরে ঢুকে ছটপুজো করলেন, উঠতে থাকে সেই প্রশ্ন।
এবার কেএমডিএ’র তরফে দাবি করা হয়, যেহেতু বহু মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে তাই রবীন্দ্র সরোবরে শর্তসাপেক্ষে ছটপুজো করতে দেওয়া হোক। তবে গ্রিন ট্রাইব্যুনালে শুনানি চলাকালীন বিশেষজ্ঞ কমিটির নির্দেশিকার কথা উল্লেখ করে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোয় প্রবল আপত্তি জানান পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। তার ফলে বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিবেশ আদালতে (National Green Tribunal) কেএমডিএ’র আরজি খারিজ হয়ে যায়। আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০১৭ সালের নির্দেশিকা অনুযায়ী চলতি বছরেও রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করতে দেওয়া যাবে না। কারণ তার ফলে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি নষ্ট হতে পারে জীববৈচিত্র্যও। তাই সেই অনুযায়ী মানতে হবে নির্দেশিকা। আদালতের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে ছটপুজো হল, সেই প্রশ্নও করা হয়। যদিও কেএমডিএ’র দাবি, ওই দুই বছরই ছটপুজোর সময় শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই রবীন্দ্র সরোবরে ঢুকে পড়েছিলেন। তাই তাঁদের প্রশাসনিকভাবে বাধা দেওয়া সম্ভব হয়নি।