দিল্লি হিংসার তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ, রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ বিরোধীরা
দিল্লির হিংসায় (Delhi riots) পুলিশের দেওয়া চার্জশিটে অসন্তুষ্ট বিরোধী শিবির। তাই বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করলেন বিরোধী নেতারা। হিংসার তদন্ত ও তাতে পুলিশের (Delhi police) ভূমিকা নিয়ে মতামত তাঁরা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতিকে (Ram Nath Kovind)। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে জমা দিয়েছেন স্মারকলিপি। তাঁদের অভিযোগ, দিল্লির হিংসাকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, সাধারণ জনগণ ও শিক্ষার্থীদের নিশানা করা হচ্ছে।
বিরোধী নেতাদের মধ্যে কংগ্রেসের আহমেদ প্যাটেল, সিপিআইয়ের ডি রাজা, সিপিআই(এম)-এর সীতারাম ইয়েচুরি, ডিএমকে-র কানিমোঝি এবং আরজেডির মনোজ ঝা বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বুধবারই ফেব্রুয়ারিতে হওয়া হিংসার ঘটনায় চার্জশিট পেশ করেছে দিল্লি পুলিশ। ১৭ হাজার ৫০০ পাতার ওই দীর্ঘ চার্জশিট ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তাতে যে ১৫ জনের নাম আছে তাঁরা সকলেই নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। যা নিয়ে দিল্লির বর্তমান পুলিশ আধিকারিকদের কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা জুলিও রিবেরো। দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে লেখা চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছেন, কেন দাঙ্গার আগে বিজেপির যে বড় নেতারা উসকানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন তাঁদের নাম চার্জশিটে রাখা হয়নি এর আগেও দাঙ্গার তদন্ত চলাকালীনও তিনি একটি চিঠি লিখেছিলেন। তখন দিল্লির পুলিশ কর্তা এসএন শ্রীবাস্তব তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলেন তদন্ত নিরপেক্ষ ও সত্যনিষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করা হবে।
দ্বিতীয় চিঠিতে রিবোরে লিখেছেন, “আমার খোলা চিঠিতে আমি যে সংশয় প্রকাশ করেছিলাম, তা আপনি হয়তো খেয়াল করেননি। আমি বুঝতে পেরেছি এটা কঠিন, বলতে গেলে অসম্ভব যে, ওই তিনজন বিজেপি নেতা যাঁদের নাম আমি করেছিলাম তাঁদের (হিংসা ছড়ানোর) লাইসেন্স দিয়ে দেওয়া হল।’’ যাঁরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলেন তাঁদের ওই বিজেপি নেতারা কটূক্তি করেছিলেন বলেও অভিযোগ জানান তিনি। এরপর রেবেইরো দাবি করেছেন, “বক্তারা যদি মুসলিম বা বামপন্থী হতেন তাহলে নিশ্চয়ই পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনত।”
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে হওয়া দিল্লি হিংসায় ৫৩ জন মারা যান। আহত হন অন্তত ২০০ জন। বিপুল পরিমাণ অর্থের সম্পত্তি ধ্বংস হয়।