কোভিড মোকাবিলায় ভাল কাজ করছে মমতা সরকার-নোবেলজয়ী অভিজিৎ
বাংলায় কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্ক (সিসিএন) যেভাবে কাজ করছে, তার জন্য গর্বিত নোবেলজয়ী বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, কো-মর্বিডিটি যাদের রয়েছে, এই মুহূর্তে তাদের তালিকা তৈরির কাজ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই তালিকা অনুযায়ী চিহ্নিত করে সিসিএনের দায়িত্বে সেই সব মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে। আশা করছি সরকার বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। অনেকেই পয়সা দিয়ে ভ্যাকসিন কেনার চেষ্টা করবে, এজন্য রাজ্যকে ঠিক মতো নজরদারি করারও পরামর্শ দিয়েছেন এই নোবেলজয়ী।
বৃহস্পতিবার কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্ক ও জনস্বাস্থ্য সহায়ক বিলাসপুরের উদ্যোগে করোনা ভ্যাকসিন ‘প্রত্যাশা ও উন্মাদনা’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে নোবেলজয়ী আরও বলেছেন, ‘আশা করছি আগামী ৬–৮ মাসের মধ্যে ট্রায়াল হওয়া তিনটির মধ্যে অন্তত একটি ভ্যাকসিন চলে আসবে। তবে বাজারে না আসা পর্যন্ত আমাদের সাবধান থাকতেই হবে।’ আইএসআই-এর অধ্যাপক পার্থ মজুমদার বলেন, ‘একবার ভ্যাকসিন তৈরি হলেই যে সব শেষ এমনটা নয়। ফ্লু ভাইরাসের মতো কোভিড ভাইরাসের চরিত্রও পরিবর্তনশীল। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিনের মতো প্রতি বছর নিতে হবে কিনা দেখতে হবে।’
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইমিউনোলজির অধ্যাপক সত্যজিৎ রত বলেছেন, ‘একটা ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ করেই তবে বাজারে আনা উচিত। হঠকারী করে প্রথম বা দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হলে তার উল্টো প্রভাব পড়বে।’ সিসিএনের অন্যতম উদ্যোক্তা ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরি বলেছেন, ‘সিসিএন ১০ জেলাতে কাজ করছে। আগামী দিনে আরও বাড়বে। উৎসবের আবহে মানুষ যেন সুরক্ষাবিধি না ভুলে যান, তার জন্য বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচী আমাদের চলবে। প্রত্যেকটি গ্রামেগঞ্জে-মহল্লায় কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’