বিনোদন বিভাগে ফিরে যান

কেন ভাঙলো সলমন-বালাসুব্রহ্মণ্যমের জুটি? 

September 18, 2020 | 2 min read

সময় পরিবর্তনশীল। বলিউডের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। দীর্ঘ চড়াই-উতরাইয়ের পর এক দশকে যদি কেউ কামব্যাক করে থাকেন তিনি হলেন সলমন খান। যদিও বলিউডে সলমনের উত্থান ঘটেছিল রোম্যান্টিক নায়ক হিসেবেই। সলমনকে এই প্রতিষ্ঠা দেওয়া পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এক গায়কেরও, এস পি বালাসুব্রহ্মণ্যম।

এক সময় বলিউডে অভিনেতার পাশাপাশি গায়কদেরও সমান গুরুত্ব ছিল। কোন নায়কের গলায় কার গান বসালে ভাল লাগবে, তা বাছাই করার জন্য আলাদা টিম পর্যন্ত নিয়োগ করতেন প্রযোজক-পরিচালকরা। তাতে কেরিয়ারের শুরুতেই সলমনের নামের সঙ্গে এস পি বালাসুব্রহ্মণ্যমের নাম জুড়ে যায়। কিন্তু অন্যতম সফল এই নায়ক-গায়কের জুটি মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই কেন ভেঙে গেল, তা নিয়ে নানা কথা শোনা যায়।

১৯৮৯ সালে ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবির মাধ্যমে নায়ক হিসেবে বলিউডে আত্মপ্রকাশ সলমনের। একমাত্র ‘আয়া মৌসম দোস্তি কা’ ছাড়া ছবিতে সলমনের গলায় সবক’টি গানই বালাসুব্রহ্মণ্যমের গাওয়া, যার মধ্যে ‘আতে যাতে’, ‘দিল দিওয়ানা’ এবং ‘মেরে রঙ্গ মে’-র মতো সুপরাহিট হয়।

সেখান থেকেই বলিউডে সলমন এবং এসপি বালাসুব্রহ্মণ্যম জুটির যাত্রা শুরু। বছরের পর বছর বলিউডে এই ধরনের গায়ক-নায়ক জুটি উঠে এসেছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলেন কিশোর কুমার-রাজেশ খন্না, আমির খান-উদিত নারায়ণ, শাহরুখ খান-অভিজিৎ। নব্বইয়ের দশকে সলমন-বালাসুব্রহ্মণ্যম জুটিকেও কিশোর-রাজেশের জুটির সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেন সকলে।

কিন্তু এর পরেই বলিউডে কার্যত বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেন সঙ্গীত পরিচালক নাদিম-শ্রবণ জুটি। একের পর এক হিট গান উপহার দিতে শুরু করেন তাঁরা। কাউকে টাইপকাস্ট করে ফেলার ঘোর বিরোধী ছিল এই জুটি। তাঁদের ছবিতে কার গলায় কাকে দিয়ে গাওয়ানো হবে, সে সব নির্ধারণের ক্ষেত্রে নাদিম-শ্রবণের কথাই শেষ হয়ে দাঁড়ায়।

সলমনের গলা বলতে মানুষ শুধু বালাসুব্রহ্মণ্যমকে খুঁজবেন, আমিরের গলা হিসেবে উদিত নারায়ণকে, বিষয়টি একেবারেই না পসন্দ ছিল নাদিম-শ্রবণের। তাই তাঁরা এক্সপেরিমেন্ট শুরু করে দেন। ‘দিল তেরা আশিক’ ছবিতে সলমনের গলায় কুমার শানুকে যেমন সুযোগ দেন, তেমনই সোনু নিগমকে সুযোগ দেন ‘জিত’ ছবিতে।

তাতেই সলমন ও বালাসুব্রহ্মণ্যম জুটি ভেঙে যায়। সলমনকে নিয়ে যেখন ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবিটি তৈরি করেন সঞ্জয় লীলা ভনসালী, সেইসময় অনেকেই বালাসুব্রহ্মণ্যমের নাম সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ইসমাইল দরবার সলমনের গলায় উদিত নারায়ণ, কুমার শানু, কেকে এমনকি হরিহরণকে দিয়ে গান গাওয়ান।

তার জেরেই জীবনে ৪০ হাজারেরও বেশি গান গাওয়া বালাসুব্রহ্মণ্যম ও সলমন খানের জুটি ভেঙে যায়। ২০১৫ সালে সলমনকে নিয়ে সুরজ বরজাতিয়া যখন ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’ ছবিটি তৈরি করেন, তখনও বালাসুব্রহ্মণ্যমের প্রসঙ্গ ফিরে আসে। সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে সলমন জানান, বয়স বেড়েছে তাঁর। 

এখন হয়ত আর আগের মতো বালাসুব্রহ্মণ্যমের গান তাঁর গলায় মানাবে না। তবে সলমনের সঙ্গে কাজ না করতে পারা নিয়ে আজও কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি বালাসুব্রহ্মণ্যমকে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Salman Khan, #S. P. Balasubramaniam

আরো দেখুন