জোর ধাক্কা, অপসারিত বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং
আগেই উঠেছিল আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। বাড়িতে বারবার হানা দিয়েছে পুলিশও। যদিও রাজনৈতিক ঈর্ষার বশবর্তী হয়েই এমন অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে বলেই সরব হয়েছিলেন সাংসদ। পুলিশি হানার প্রসঙ্গেও একই যুক্তি দিয়েছিলেন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। এত কিছুর পরেও হল না শেষরক্ষা। ভাটপাড়া-নৈহাটি সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিতই হলেন তিনি। রবিবার ১২-০ ভোটে অপসারিত হতে হয় তাঁকে। তার ফলে গেরুয়া শিবিরে অস্বস্তি যে বাড়ল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
ঘটনার সূত্রপাত বছর দুয়েক আগে। সেই সময় ভাটপাড়া-নৈহাটি সমবায় ব্যাংকের (Bhatpara Naihati Co-Operative Bank) প্রায় ২০ কোটি টাকা ঋণ অবৈধভাবে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে। সেই অনুযায়ী শুরু হয় তদন্ত। তাতেই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২০১৮-র অক্টোবরে দু’দফায় মোট ১৩ কোটি টাকা ঋণ হিসাবে ভাটপাড়া পুরসভার ঠিকাদার অভিজিৎ চক্রবর্তীকে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু সেই টাকা নাকি অভিজিৎ চক্রবর্তীর পরিবর্তে অন্যের অ্যাকাউন্টে চলে যায়। এই ঘটনায় ব্যাংকের তৎকালীন সিইও চন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যেরও নাম জড়ায়। তদন্তে নেমে পুলিশ একে একে চন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং অভিজিৎ চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করে। ওই মামলাতেই বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের নামও জড়িয়ে যায়।
যদিও বরাবরই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর ফলে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে বলেই দাবি করেন গেরুয়া শিবিরের সৈনিক। তবে তা সত্ত্বেও অর্জুন সিংয়ের অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। তাতেই ভোটাভুটি হয় রবিবার। সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে ১২-০ ভোটে অপসারিত হলেন তিনি। যা নিঃসন্দেহে তাঁর কাছে অস্বস্তির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।