ভারতীয় চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করেছে মহেশ ভাটের কাজ
১৯৪৮ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর লাহোর শহরে জন্ম। স্কুলে থাকাকালীনই তিনি অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন কাজ করতেন এবং বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন তৈরি করতেন। এই কাজের সুত্রে চলচ্চিত্র পরিচালক রাজ খোসলার সাথে পরিচিত হন। সহকারী পরিচালক হিসেবে সেই যে যাত্রা শুরু, আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। হ্যাঁ, উনি মহেশ ভাট। আজ তার জন্মদিন।
দেখে নেওয়া যাক তাঁর ১০টি সেরা সিনেমার তালিকাঃ-
অর্থ (১৯৮২)
শাবানা আজমি, স্মিতা পাতিল অভিনীত এই সিনেমা আসলে মহেশ ভাটের জীবনের প্রতিফলন। অভিনয়ের পাশাপাশি জগজিৎ সিং ও কাইফি আজমির সঙ্গীত নির্দেশনার জন্যও বিখ্যাত।
সারাংশ (১৯৮৪)
মহেশ ভাটের এই সাড়া জাগানো সিনেমা অনুপম খেরের অভিনয়ের জন্যও বিখ্যাত। একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে পাল্টে যায় বৃদ্ধ বাবার জীবন। প্রাপ্যটুকু পাওয়ার জন্য করতে হয় লড়াই। এই ছবির গল্প নাড়িয়ে দেয় দর্শকদের।
জন্ম (১৯৮৫)
নিজের প্রথম স্ত্রীর সাথে কীভাবে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, সেই গল্পই এই সিনেমায় তুলে ধরেন মহেশ ভাট। অভিনয় করেছেন কুমার গৌরব, শেহনাজ পাতিল।
নাম (১৯৮৬)
কাহিনীকার সেলিম খান ও মহেশ ভাটের নির্দেশনায় তৈরি হয় এই সিনেমা। দুই ভাইয়ের বেড়ে ওঠা নিয়ে তৈরি এই সিনেমা। এই সিনেমার ‘চিঠি আয়ি হ্যায়’ গানটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়। অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত, কুমার গৌরব, অমৃতা সিং, পুনম ধিলন এবং নুতন।
কাশ (১৯৮৭)
এই সিনেমায় দেখা যায় কিভাবে এক বিচ্ছিন্ন হওয়া দম্পতি তাদের একমাত্র ছেলের অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে আবারও মিলিত হয়। অভিনয় করেছেন জ্যাকি শ্রফ এবং ডিম্পল কাপাডিয়া।
ড্যাডি (১৯৮৯)
মদের নেশায় বুঁদ এক গায়ক কিভাবে আবার সব কিছু ছেড়ে মেয়ের অনুপ্রেরণায় সুস্থ জীবন বেছে নিলেন সেই নিয়েই এই গল্প। মুখ্য ভূমিকায় অনুপম খের ও নবাগতা পূজা ভাট।
দিল হ্যায় কে মানতা নেহি (১৯৯১)
ফ্র্যাঙ্ক কাপ্রার ছবি ‘ইট হ্যাপেন্ড ওয়ান নাইট অ্যান্ড ইয়েট’ থেকে অনুপ্রাণিত এই ছবি অনবদ্য। আমির খান ও পূজা ভাটের অভিনয় মন কেড়ে নেয় দর্শকদের। নাদিম শ্রাবণের সুরে সমৃদ্ধ এই সিনেমা।
সড়ক (১৯৯১)
রবার্ট ডে নিরোর ট্যাক্সি ড্রাইভার সিনেমার ওপর আধারিত এই সিনেমা সঞ্জয় দত্ত, পূজা ভাট, দীপক তিজোরি এবং সদাশিবের অভিনয়ের পাশাপাশি কুমার শানুর গানে সমৃদ্ধ।
হাম হ্যায় রাহি পেয়ার কে (১৯৯৩)
ক্যারি গ্রান্ট – সোফি লরেন অভিনীত হাউসবোটের রিমেক বলা হয় এই ছবিকে। হাস্যরসের পাশাপাশি অনাথ শিশুদের নিয়ে সামাজিক বার্তা দর্শকদের ছুঁয়ে যায়। এই সিনেমায় আমির খান, জুহি চাওলার গানের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গান খুব জনপ্রিয়।
জখম (১৯৯৮)
এক মা ও তার সন্তানের সম্পর্কের গল্পে অনায়াসে চলে আসে ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে প্রেমের বার্তা। উগ্র ধর্মীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে অসামান্য এই ছবি জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছে।