কৃষি বিল নিয়ে উত্তাল রাজ্যসভা
রবিবার সকাল থেকেই কৃষি বিল নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদের উচ্চ কক্ষ। কংগ্রেসের পাশাপাশি বিরোধী দলও ওই বিলের পাশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে। এমনকী হুঁশিয়ারি এসেছে এনডিএ শরিক অকালি দলের তরফ থেকেও। পঞ্জাব, হরিয়ানায় ব্যাপক প্রতিবাদ, মিছিল করছেন চাষিরা।
কৃষি সংস্কারের জন্য আনা কেন্দ্রের নয়া বিল আসলে চাষিদের মৃত্যু পরোয়ানা। আর ওই পরোয়ানায় সই করতে নিমরাজি কংগ্রেস। রাজ্যসভায় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রতাপ সিং বাজোয়া। তিনি বলেন, “চাষিদের জন্য মৃত্যু পরোয়ানায় সই করবে না কংগ্রেস”।
২০০৬ সালে কৃষক স্বার্থে অনশন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৯ বছরে কৃষকদের আয় তিনগুন বেড়েছে বাংলায়। প্রতিশ্রুতি দিয়েও পালন করেনি কেন্দ্র। শুধু সংবাদ শিরোনাম তৈরিতে ব্যস্ত তারা। এই ভাষাতেই কেন্দ্রকে কড়া আক্রমণ করলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। তার সাফ কথা, কৃষি বিল যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী, কৃষক-স্বার্থের বিরোধী।
কৃষকরা কেন্দ্রীয় সরকারকে বিশ্বাস করে না। সরকারকে ভরসা করতে ভয় পাচ্ছে তারা। এই ভাষাতে কেন্দ্রকে আক্রমণ শানালেন অকালি দলের সাংসদ নরেশ গুজরাল। তিনি বলেন কৃষক বিল কৃষক স্বার্থের বিরুদ্ধে। বিজেপির উচিত তাদের বিশ্বাস পুনঃ অর্জন করা।
বিজেপির প্রাক্তন জোটসঙ্গী শিব সেনার সঞ্জয় রাউতের মন্তব্য, যে সরকার নিজেদের ক্যাবিনেট মন্ত্রীর আস্থা অর্জনে অক্ষম, তারা কৃষকদের কিভাবে আস্থা অর্জন করবেন? প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার কেন্দ্রকে আক্রমণ, বিল পাশে এত তাড়াহুড়ো কেন? করোনাকালে এই বিল না আনলে কি খুব ক্ষতি হয়ে যেত?
রাজ্যসভার মেয়াদ দুপুর ১টা পর্যন্ত। কিন্তু কৃষি বিল সংক্রান্ত আলোচনা শেষ হয়নি। তাই উপসভাপতি মেয়াদ বাড়াতে চান। কিন্তু তাতে নারাজ বিরোধীরা। তাদের দাবি আলোচনা চলুক কাল। কিন্তু হৈ-হট্টগোলের মধ্যেই গায়ের জোরে বিল পাশ করায় সরকার।