আরও ৭ বছর চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে তথ্য দেবে অরবিটার
অভিযান ব্যর্থ হয়েও ব্যর্থ হয়নি। প্রতিটি যন্ত্রাংশ অটুট, কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্বচ্ছন্দে। চন্দ্রযান-২ চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশের বর্ষপূর্তিতে এমনই আশার কথা শুনিয়েছে ইসরো। টুইটারে আরও লেখা হয়েছে, এখনও যানটিতে ৭ বছর প্রদক্ষিণ করার মতো জ্বালানি আছে।
চাঁদের অন্ধকার দিক অর্থাৎ দক্ষিণ মেরুতে আলো ফেলার লক্ষ্যে গত বছর চন্দ্রযান-২ পাঠিয়েছিল ইসরো। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যানটি অনেক আশা নিয়ে চন্দ্রপথে পাড়ি দিয়েছিল। কিন্তু চাঁদের মাটিতে অবতরণের ঠিক আগে গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ভেঙে পড়ে। এখানেই ধাক্কা খায় ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযান।
তবে পুরোটাই ব্যর্থ হয়নি। ২০১৯এর ২০ আগস্ট চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়েছিল চন্দ্রযান-২। ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ভেঙে পড়লেও অরবিটার এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ অক্ষত। বিশেষত হাই রেজোলিউশন ক্যামেরা দারুণ কাজ করছে। সে-ই চন্দ্রপৃষ্ঠের খুঁটিনাটি ছবি পাঠাচ্ছে ইসরোর কন্ট্রোল রুমে। এভাবেই চাঁদের মাটিতে নতুন গহ্বর – ‘সারাভাই ক্রেটার’ আবিষ্কার ‘অরবিটার’ আবিষ্কার করে ফেলেছিল অরবিটার। তা বিশ্লেষণ করে চাঁদের অন্ধকার দিকের অনেক কিছু স্পষ্ট হবে বলে আশা ইসরোর বিজ্ঞানীদের।
তাঁরা জানাচ্ছেন, অরবিটারে যেহেতু আরও সাত বছর কাজ করার মতো জ্বালানি আছে, তাই এখনও অনেক অজানা তথ্য আবিষ্কারে পুরোদমে কাজ করতে সক্ষম চন্দ্রযান-২’এর এই অংশ। বিশেষত চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, আবহাওয়া, খনিজ ভাণ্ডার – সব কিছু সম্পর্কেই অরবিটারের পাঠানো ছবি থেকে বিশদ জানার অনেক সুযোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আর সেই কারণেই ল্যান্ডার বিক্রমের ভেঙে পড়ার ঘটনায় অভিযান ব্যর্থ বলতে নারাজ ইসরো। বরং যেটুকু তথ্য হাতে পাওয়া যাচ্ছে, তা নিয়েই জোরদার কাজে নেমে পড়তে চান তাঁরা। এবং চন্দ্রযান-২’র অভিজ্ঞতা নিয়ে পরবর্তী দিনে আরও ভালভাবে চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা করার লক্ষ্যে কাজ করবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।