এবার মোবাইল অ্যাপেই পাওয়া যাবে লোকাল ট্রেনের টিকিট
লোকাল ট্রেনেও লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটা বন্ধ হতে পারে। করোনা পর্বে ভিড় এড়াতে কাউন্টার নয়, লোকালের টিকিট কাটার ক্ষেত্রে মোবাইল অ্যাপের উপরই জোর দিতে চায় রেল। মন্ত্রক সূত্রের খবর, এর ফলে একদিকে যেমন বিভিন্ন স্টেশনের অসংরক্ষিত টিকিট বুকিং কাউন্টারগুলোর সামনে ভিড় কমবে, তেমনই এড়ানো যাবে স্পর্শ। লোকাল ট্রেন চালু করার বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার সময় এহেন প্রস্তাবই পেশের পরিকল্পনা করছে রেল বোর্ড। রেলমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রের খবর, রেলের যে ইউটিএস অন মোবাইল অ্যাপ রয়েছে, তার মাধ্যমেই লোকাল ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ে জোর দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। অর্থাৎ, উপকৃত হবেন স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারীরা।
করোনা মোকাবিলায় দেশজোড়া লকডাউনে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেনের স্বাভাবিক পরিষেবা। ওই একই সময় থেকে বন্ধ শহর ও শহরতলির লোকালও। আনলক পর্বের সাম্প্রতিক দফায় এসে মেট্রোর চাকা গড়ালেও শহর-শহরতলির লোকাল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব জানিয়েছেন, ‘লোকাল ট্রেন চালু করার বিষয়ে নিয়মিতভাবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছেন রেলমন্ত্রকের আধিকারিকেরা। কারণ এখানে ভিড় নিয়ন্ত্রণই অন্যতম প্রধান ইস্যু।’ আর এই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতেই টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারের উপর জোর দিতে চাইছে রেল। যদিও রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রেল বোর্ড।
যাত্রী ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে কলকাতা মেট্রোয় ইতিমধ্যেই ই-পাস ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। তবে কি লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রেও ওই একই পথে হাঁটতে চাইছেন রেলের আধিকারিকেরা? যদিও রেলমন্ত্রক সূত্রে এহেন সম্ভাবনা কার্যত খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। রেল বোর্ডের শীর্ষ আধিকারিকদের ব্যাখ্যা, মেট্রো এবং লোকালের পরিকাঠামো এক নয়। শহর ও শহরতলির রেল স্টেশনগুলিতে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ অনেক। ফলে ই-পাস দেখালেই ভিতরে যাওয়ার অনুমতি মিলবে, এমন বন্দোবস্ত অন্তত রেল স্টেশনে করা সম্ভব নয়। আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যার আশঙ্কাও থাকে। কিন্তু টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হলে বাড়িতে বসেই টিকিট কাটতে পারবেন সাধারণ যাত্রীরা। পাশাপাশি স্টেশনে টিকিট চেকিংয়ের সময় সংস্পর্শ অনেকটাই এড়ানো যাবে। তাছাড়া বুকিংয়ের সময় ক্যাশ লেনদেনও কমবে। যা করোনা রোধে বিশেষ ভূমিকা নেবে। তবে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুকিংয়ের প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক করা হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে রেল বোর্ড। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই এই ইস্যুতে চূড়ান্ত কৌশল নির্ধারণ করতে চাইছে তারা।