দেশ বিভাগে ফিরে যান

সাসপেন্ড ৮ সাংসদ, ধর্ণায় বিরোধীরা

September 21, 2020 | 2 min read

কৃষি বিল নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের প্রতিবাদে কর্ণপাত না করেই রীতিমতো গায়ের জোরেই গতকাল রাজ্যসভায় দু’টি কৃষি বিল পাস করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্র। আর প্রতিবাদ দেখানোয় সাসপেন্ড করা হয়েছে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন-সহ ৮ সাংসদকে।

এ নিয়েই এবার কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, এ ধরনের সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।

ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সংসদের উচ্চকক্ষে নয়া কৃষি বিল পেশের সময়। এ নিয়ে বিতর্কের জেরে কংগ্রেস সাংসদ রিপুন বোরা, তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং ও ডিএমকে সাংসদ ত্রিরুচি শিবা হরিবংশের পোডিয়ামের মাইক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এমনকী, তাঁরা রুলবুক, কাগজপত্রও ছিঁড়ে দেন বলে অভিযোগ।

যদিও বিরোধীদের দাবি, রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানকে রুল বুক দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন ডেরেক। তাঁকে সরিয়ে দেন রাজ্যসভার মার্শাল। সেসময় ১০ মিনিটের জন্য অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়। পরে অধিবেশন শুরু হলে ধ্বনি ভোটে বিল পাশ হয়ে যায়।

এরপর কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম ও ডিএমকে সাংসদরা রাজ্যসভার কক্ষে ধর্ণায় বসেন। ডেপুটি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন সাংসদরা। এর পরিপ্রক্ষিতে আজ দিনের শুরুতেই ডেরেক, রিপুন বোরা-সহ রাজ্যসভার ৮ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়।

ডেরেক যদিও স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি রুল বুক ছেঁড়ার মতো কাজ করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। এরপরই এ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মমতা। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘এই ঘটনা খুবই অনভিপ্রেত। তবে আমরা মাথা নত করব না। কেন্দ্রের স্বৈরাচারিতার বিরুদ্ধে সংসদে এবং প্রয়োজনে পথে নেমে লড়ব।’

বিরোধী শিবিরের সাংসদরা এখন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্ণায় বসেছেন। রাতভর চলবে এই ধর্ণা, খবর সূত্র মারফৎ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Dharna, #Rajyo Sabha, #Firm Bills

আরো দেখুন