← পেটপুজো বিভাগে ফিরে যান
চিংড়ির দক্ষিণী ফ্রাইয়ে মন মজবে সকলের
ভাতের পাতে হোক বা সন্ধেবেলায় চায়ের সঙ্গে, কুড়মুড়ে মুচমুচে ভাজাভুজি থাকলে আর কিছু লাগে না। ভাজা বলতে প্রথমেই মনে হয় আলুর চপ বা বেগুনি। ট্রাই করে দেখতে পারেন দক্ষিণী ফ্রাই, তবে চিংড়ি দিয়ে।
বাড়িতে ঠিক রেস্তোরাঁর মতো কুড়মুড়ে দক্ষিণী প্রন ফ্রাই বানাবেন কী করে? সেটাই এবার জানার পালা। চিংড়ি মানেই মোহনবাগান সমর্থকদের প্রিয় আর ইলিশ মানেই ইস্টবেঙ্গলের প্রিয় মাছ, এ নিয়ে দুই দলের সমর্থকদের ঝগড়া চলতে থাকুক। কিন্তু এই স্ন্যাক্স কিন্তু মন জয় করবে প্রত্যেকেরই।
উপকরণ
- খোসা ও মাথা ছাড়িয়ে নেওয়া চিংড়ি- ইচ্ছে মত
- কর্নফ্লাওয়ার- এক থেকে দেড় কাপ
- পাতিলেবু
- নুন- স্বাদমতো
- কারি পাতা
- গোটা সর্ষে- হাফ চা চামচ
প্রণালী
- চিংড়ি পরিষ্কার করে নিতে হবে। খোসা ভাল করে ছাড়িয়ে নিন। চিংড়ির মাথাটিও ছাড়িয়ে রেখে দিন আলাদা করে।
- এ বার গুটিয়ে আসা চিংড়িগুলো কলের তলায় ধরে ভাল করে ধুয়ে নিন। যাতে শিরাটি না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। পাত্রের গায়ে বা চিংড়ির মধ্যে কোনও ময়লা ভাব না থাকে।
- একটি পাত্রে জলের মধ্যে কিছু বরফ দিন। এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস দিন তার মধ্যে। এ বার চিংড়িগুলো সেই পাত্রের জলে ডুবিয়ে ফ্রিজে রাখুন।
- আধ ঘণ্টা পরে তা বার করে জল থেকে ছেঁকে তুলে নিতে হবে। অন্য একটি পাত্রে জল ঝরিয়ে নিন ভাল করে।
- চিংড়ির টুকরোগুলো ভাজার আগে একটি পাত্রে অল্প কর্নফ্লাওয়ার ও স্বাদ মতো নুন মিশিয়ে রাখুন। ভাজার আগে চিংড়িগুলো এই মিশ্রণে দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
- এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে তা ফুটন্ত তাপমাত্রায় পৌঁছনো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। চিংড়ি ছেড়ে আঁচ মাঝারি করে নিন।
- একে একে চিংড়ির টুকরোগুলো দিয়ে নাড়তে থাকুন। মনে রাখবেন, একটু ডুবো তেলে ভাজতে হবে।
- খেয়াল রাখবেন, চিংড়িগুলো কড়াইয়ের নীচে যেন আটকে না যায়। যাতে ভেঙে না যায় খেয়াল রাখতে হবে সে দিকেও।
- ভাজা চিংড়ি তুলে টিসু পেপারে রেখে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে পেপার।
- তার পরে আবার আঁচ বাড়িয়ে তেলে সামান্য কারিপাতা ও সর্ষে ফোড়ন দিন।
- সার্ভিং প্লেটে ভাজা চিংড়ির উপরে কারিপাতা ও সর্ষে ছড়িয়ে দইয়ের রায়তার সঙ্গে পরিবেশন করুন।