দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নিতে পারে ডায়াবিটিস! সাবধান
ডায়াবিটিসের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে শরীরের অনেক অঙ্গ এবং সিস্টেমের ক্ষতি হয়। চোখের রেটিনার মাধ্যমে ভিসুয়াল ইনফর্মেশন অপটিক নার্ভে গিয়ে পৌঁছয়। রক্তে সুগার বাড়লে রেটিনার সরু রক্তবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সরু রক্তজালক চিরে যায়। সেখান থেকে রক্ত এবং অন্যান্য তরল লিক করে। ফলে রেটিনার টিসু ফুলে ওঠে। দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে।
ডায়াবিটিসের অন্যতম ক্ষতিকর দিক হল রেটিনোপ্যাথি, যা থেকে অন্ধত্ব আসতে পারে। এই ক্ষতি শুরু হয় খুব সূক্ষ্মভাবে, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ বেড়ে চলে। দীর্ঘ দিন ডায়াবিটিসে ভুগলে এই রোগের আশঙ্কা বাড়ে। ক্ষতি যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে, চিকিৎসা শুরু হবে, দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা তত কম।
এ রোগ প্রতিরোধের উপায় হল, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করা, যাতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে রেটিনোপ্যাথি বাধাতে না পারে।
সেই কারণে:
- নিয়ম করে ডায়াবিটিসের ওষুধপত্র খেতে ও ইনসুলিন নিতে হবে।
- স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া করতে হবে। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়, এমন খাবার বাদ দিয়ে দিতে হবে একেবারে।
- রোজ ক্ষমতা অনুযায়ী শারীরচর্চার অভ্যেস গড়ে তুলতে হবে।
- নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রাও।
- মদ্যপান এবং ধূমপান ছাড়তে হবে।
- খাদ্যতালিকায় যেন যথেষ্ট পরিমাণে টাটকা ফলমূল এবং আনাজপাতি থাকে।
এই রোগের চিকিৎসায় চোখে সরাসরি ইঞ্জেকশন দিয়ে রক্তজালিকার ক্ষতি আটকানো যায়, প্রদাহও থামানো যায়। রক্তজালিকার কোনও অংশ চিরে গেলে, লেসার থেরাপির সাহায্যে তা মেরামত করা সম্ভব। ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির খুব অ্যাডভান্সড পর্যায়ে সার্জারি আবশ্যক হয়ে পড়ে। সার্জারির মাধ্যমে চোখের পিছন থেকে ভিট্রিয়াস হিউমরকে প্রতিস্থাপন এবং ডিটাচ হয়ে যাওয়া রেটিনাকে পুনর্স্থাপন করা হয়।