হকারদের জন্য দু’হাজার টাকা করে ভাতা ঘোষণা রাজ্য সরকারের
করোনা আবদে বহু মানুষের পেটে টান পড়েছে। লকডাউন পর্বে বাড়ি থেকে মানুষ বেরোনো বন্ধ করায় সবচেয়ে সমস্যায় পড়েন হকাররা। সেইকথা চিন্তা করে পুজোর মাসে হকারদের জন্য ভাতা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, রাজ্যের ৮০ হাজার হকারকে পুজোর মাসে এককালীন দু’হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
পাশাপাশি এদিন গ্রিন পুলিশ ও আশাকর্মীদের সাম্মানিকও ১ হাজার টাকা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের সমীক্ষার কাজেরও প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া প্রত্যেক পুজো কমিটিকে রাজ্য সরকার ৫০ হাজার টাকা করে দেবে ঘোষণা করেন মমতা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী পুজোর উদ্যোক্তাদের জন্য একাধিক ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, দমকল কোনও ফি নেবে না। এছাড়া পুরসভা, পঞ্চায়েত কোনও ট্যাক্স নেবে না। বিদ্যুতেও ৫০ শতাংশ ছাড় মিলবে।
পাশাপাশি পুজো নিয়েও একগুচ্ছ ঘোষণা করেন মমতা। মণ্ডপে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক। তৃতীয়ার দিন থেকে একাদশীর দিন অবধি রাতে পুজো দেখা যাবে। করোনা লকডাউনকে করে দিয়ে আমরা সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। মা আসবেন। সকলকে ভালো রাখবেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মণ্ডপে অতিরিক্ত ভিড় করা যাবে না। পুজোয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করা যাবে না। মণ্ডপে বেশি সংখ্যাক স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তাঁদের অবশ্যই ফেস শিল্ড পরতে হবে।
পাশাপাশি অঞ্জলি ও বিসর্জন নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী কিছু নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। ২-৩ বারে অঞ্জলি ও সিঁদুর খেলার বন্দোবস্ত করতে হবে। পাশাপাাশি একদিনে সমস্ত পুজোর বিসর্জন হবে না। মণ্ডপের তিনদিক খোলা রাখার পাশাপাশি মণ্ডপে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মণ্ডপে ঢোকা বেরোনোর জন্যও আলাদা রাস্তা রাখতে হবে।