পুজোর আগে চলবে ১৩টি ট্রেন, প্রস্তুতি পূর্ব রেলের
দুর্গাপুজোর আগেই বাছাই করা কয়েকটি রুটে এক্সপ্রেস চালাতে চেয়ে রেলওয়ে বোর্ডের কাছে আবেদন জানাল পূর্ব রেল। সূত্রের খবর, লাভজনক ১৩টি রুটে ট্রেন চালানোর আবেদন জানিয়ে বোর্ডকে ওই চিঠি দিয়েছেন পূর্ব রেলের প্রিন্সিপাল চিফ কমারশিয়াল ম্যানেজার।
জানা গিয়েছে, পূর্ব রেলের তিনটি ডিভিশন হাওড়া, শিয়ালদহ এবং মালদহ থেকে ট্রেন চালু করার প্রস্তাব জানিয়ে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে প্রিন্সিপাল চিফ অপারেশনস ম্যানেজারকে। বলা হয়েছে, শিয়ালদহ রাজধানী এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেল ও সরাইঘাট এক্সপ্রেস এবং অন্য়ান্য ট্রেনগুলি চালানো হলে আর্থিক সমস্যাও দূরীভূত হতে পারে।
এমনিতে লকডাউনের সময় থেকেই বিশেষ ট্রেন চালাচ্ছে রেল। কিন্তু তাতে এক দিকে যেমন যাত্রীদের চাহিদা মিটছে না, তেমন দূরপাল্লার পাশাপাশি লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় আর্থিক ঘাটতির মুখোমুখি হচ্ছে রেল।
১৩টি ট্রেন
১. শিয়ালদহ-এনজেপি দার্জিলিং মেল
২. শিয়ালদহ-নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস
৩. শিয়ালদহ-অমৃতসর এক্সপ্রেস
৪. শিয়ালদহ-জয়নগর গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেস
৫. হাওড়া-গুয়াহাটি সরাইঘাট এক্সপ্রেস
৬. হাওড়া-রক্সৌল মিথিলা এক্সপ্রেস
৭. হাওড়া-জামালপুর এক্সপ্রেস
৮. হাওড়া-জম্মু তাওয়াই হিমগিরি এক্সপ্রেস
৯. মালদহ টাউন-দিল্লি ত্রি-সাপ্তাহিক ফরাক্কা এক্সপ্রেস
১০. আসানসোল-ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস
১১. জসিডিহ-তাম্বারাম সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস
১২. কলকাতা থেকে গোরক্ষপুর পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস
১৩. কলকাতা-যোগবাণী ত্রি-সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস
সূত্রের খবর, পূর্ব রেলের তরফ থেকে রেলওয়ে বোর্ডের কাছে আবেদনে জানানো হয়েছে এই ১৩টি ট্রেনের পরিষেবা চালু করা হোক।
উৎসবের আগে আরও বিশেষ ট্রেন!
করোনাভাইরাস সংক্রমণ অব্যাহত থাকলেও উৎসবের মরশুমে সাধারণ মানুষের চাহিদার দিকে তাকিয়ে রেল আরও ৮০টি বিশেষ ট্রেন চালাতে পারে বলে সূত্রের খবর।
সামনে অক্টোবর মাসে দেশ জুড়ে একের পর এক উৎসব। নবরাত্রি, দুর্গাপুজো, দশেরা, দীপাবলি এবং ভাইফোঁটার মতো আরও বেশ কিছু উৎসবকে কেন্দ্র করে যাত্রী সংখ্যা বাড়ার প্রত্যাশা করছে ভারতীয় রেল।
পর্যটনে হাল ফেরানোর উদ্যোগ
কোভিড -১৯ মহামারির কারণে প্রায় ছ’মাস বন্ধ থাকার পরে দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের জনপ্রিয় স্থানগুলি পর্যটকদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ সরকার দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের হোটেলগুলিকে শারীরিক দূরত্বের নিয়মাবলি অনুসরণ করে এবং স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে পুনরায় খোলার অনুমতি দিয়েছিল। কন্টেন্টমেন্ট জোনগুলির হোটেল-লজ খোলার অনুমতি মিলেছে। অন্য দিকে প্রায় ছ’মাস বন্ধ থাকার পর ২ অক্টোবর থেকে রাজ্যের সমস্ত চিড়িয়াখানা এবং ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে অভয়ারণ্য খোলার অনুমতিও দিয়েছে রাজ্য।