করোনা আক্রান্ত তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়
এবার করোনা আক্রান্ত হলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বারাবনির তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। কোন উপসর্গে না থাকলেও চিকিৎসকদের পরামর্শে বিধায়ককে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিন বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় বলেন, দিন তিনেক আগে সামান্য জ্বর এসেছিল। সেই সময় লালা নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। এদিন সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপরেই কোনরকম ঝুঁকি না নিয়ে আমি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। জ্বর, গলাব্যথা বা অন্য কোন উপসর্গ আপাতত নেই বলে বিধায়ক নিজেই জানান। করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর বিধায়ক নিজেই এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান। সেখানে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে গত কয়েকদিন যারা ছিলেন তারা সকলে নিজেদের লালা নমুনা করোনা পরীক্ষা করে নিন। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র তথা পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি। তার স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত হন। যদিও দু’দিন আগে সস্ত্রীক মেয়র কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এদিকে, চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার এক কর্মীর মৃত্যু হয় বৃহস্পতিবার ভোরবেলা। পরে রেলের তরফে জানানো হয়, মৃত কর্মী করোনা আক্রান্ত হননি। তার লালা নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ। ৫২ বছর বয়সের ওই কর্মী চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার স্টিল ফাউন্ড্রি বিভাগে ক্রেন ড্রাইভার পদে কর্মরত ছিলেন। তবে ওই ক্রেন ড্রাইভারের স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক দাদা করোনা আক্রান্ত হয়ে চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
রেল শহর চিত্তরঞ্জনের ৩২ নম্বর স্ট্রিটের রেল আবাসনের বাসিন্দা ওই রেলকর্মী গত ২১ সেপ্টেম্বর শ্বাসকষ্ট, জ্বর নিয়ে রেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার শরীরে করোনার কোন উপসর্গ ছিল না। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। বৃহস্পতিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। তারপর এদিন সকালে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ থেকে তার লালা নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এলে জানা যায় তিনি করোনা নেগেটিভ। এদিকে, এই মুহূর্তে চিত্তরঞ্জনের কেজি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩২ জন ভর্তি রয়েছেন বলে রেলের তরফে বলা হয়েছে।