ড্রাগ-চ্যাট করেছেন, মাদক সেবন নয়! দাবি দীপিকা-শ্রদ্ধার
নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জিজ্ঞাসাবাদের সামনে ড্রাগ-চ্যাটে কথা স্বীকার করে নিলেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন এবং শ্রদ্ধা কাপুর। এমনই জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন রিপোর্ট সূত্রে। সূত্রের খবর, যে মাদক চ্যাট গ্রুপের কথোপকথনের ভিত্তিতে সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী মাদক-যোগসূত্র প্রকাশ্যে এসেছিল, সেই গ্রুপে মাদক সংক্রান্ত চ্যাটের কথা স্বীকার করেছেন ‘পদ্মাবত’ অভিনেত্রী। একইভাবে সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে পার্টিতে যাওয়ার কথা এবং ড্রাগ-চ্যাটের অভিযোগ মেনে নিয়েছেন শ্রদ্ধা কাপুর। তবে দুই অভিনেত্রীরই দাবি, তাঁরা কখনই মাদক সেবন করেননি। এমনই জানা যাচ্ছে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট সূত্রে। ৫ ঘণ্টার জেরার পর NCB গেস্ট হাউজ থেকে বেরিয়ে যান দীপিকা পাড়ুকোন।
প্রসঙ্গত, বলিপাড়ায় মাদক-যোগের তদন্তে নেমে সম্প্রতি NCB-র হাতে আসে তারকাদের হোয়াটসঅ্য়াপ চ্যাট। সেখানে ইংরেজি ‘ডি’ এবং ‘কে’ আদ্যাক্ষরের দুটি নামের কথা জানা যায়। মাদক প্রসঙ্গে, তাঁদের মধ্যে একাধিক চ্যাটও ফাঁস হয়ে যায়। এর জেরেই শোরগোল পড়ে যায়। পরবর্তীতে NCB অভিনেত্রী দীপিকা ও তাঁর ম্য়ানেজার করিশ্মাকে তলব করলে জানা যায় ওই কথোপকথনে ‘ডি’ অর্থাৎ দীপিকা এবং ‘কে’ অর্থাৎ করিশ্মা।
শনিবার দীপিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের আগে শুক্রবারের এক খবরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি, যে মাদক গ্রুপের কথোপকথনের ভিত্তিতে সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর মাদক-যোগসূত্র প্রকাশ্যে এসেছিল, সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন আদতে দীপিকা পাড়ুকোনই। তবে তিনি একা নন, ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহাও ওই গ্রুপের আরও এক অ্যাডমিন। গ্রুপের সদস্য দীপিকার ম্যানেজার করিশ্মা। এই বিষয়গুলি নিয়েই বলিউড অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন NCB গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় সংস্থার সমন পাওয়ার পর গোয়ায় শ্যুটিং বাতিল করে মুম্বই ফিরে আসেন দীপিকা পাড়ুকোন। সূত্রের খবর, গতকালও স্বামী রণবীর সিংয়ের সঙ্গে আইনি পরামর্শ নিয়েছেন দীপিকা।
আরও সূত্রের খবর, ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহা-কে তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর বলিউডে মাদক তদন্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে NCB। তদন্তকারীদের হাতে এসেছে, সেলিব্রিটি ক্লায়েন্টদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের স্ক্রিনশট। অভিযোগ, শ্রদ্ধা কাপুরের জন্য CBD ওয়েল সংগ্রহ করতেন বলেও জানিয়েছেন জয়া। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, বয়ফ্রেন্ড রোহন শ্রেষ্ঠার বাড়ি থেকেই NCB অফিসে পৌঁছন শ্রদ্ধা।
গত ১৪ জুন বান্দ্রার বাড়ি থেকে সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সেই তদন্ত চলাকালীন অভিনেতার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে সুশান্তের মৃত্যুতে মাদক-যোগ সামনে আসে। মিডিয়া রিপোর্টের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় রিয়ার থেকেই সারা ও শ্রদ্ধার নাম জানতে পারেন NCB গোয়েন্দারা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন রিয়ার আইনজীবী।