‘রাহুলদা মানসিক সমস্যায় রয়েছেন’, কটাক্ষ অনুপম হাজরার
কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে বাদ পড়ার পর শনিবার নাম না করে দলেরই বেশ কয়েকজনকে নিশানা করেছিলেন রাহুল সিনহা (Rahul Sinha)। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অনুপম হাজরাও (Anupam Hazra)। এবার সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক। বললেন, “রাহুলদা মানসিক সমস্যায় রয়েছেন। কলকাতায় বসে চা খেতে খেতেই সমস্যা মিটিয়ে ফেলব।”
শনিবারই সর্বভারতী স্তরে সংগঠনে রদবদল করে নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি (BJP)। তাতে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদে বসানো হয়েছে মুকুল রায়কে। আর বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন। একই পদে এসেছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। উত্তরবঙ্গের জমি ধরে রাখতেই বিজেপির এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, উত্তরবঙ্গে থেকে প্রথম কেউ সংগঠনের এত গুরুত্বপদে পদ পেলেন। এর আগে রাহুল সিনহা ছিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সম্পাদক পদে। এবার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কোনও পদেই নেই রাহুলবাবু। যা খুব একটা ভালভাবে নেননি তিনি। বরং ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। শনিবার বলেছেন, “চল্লিশ বছর ধরে বিজেপির একজন সৈনিক হিসাবে দলের সেবা করে এসেছি। জন্মলগ্ন থেকে বিজেপির সেবা করার পুরস্কার এটাই যে একজন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা আসছেন, তাই আমায় সরতে হবে। এর চেয়ে বড় দুর্ভাগ্যের কিছু হতে পারে না।” রাহুল সিনহার এই মন্তব্য অস্বস্তি বাড়়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের।
রাহুল সিনহার মন্তব্য প্রসঙ্গে অনুপম হাজরা বলেন, “রাহুলদা কী বলেছেন নিজে শুনিনি, তাই এবিষয়ে কিছু বলব না। তবে হ্যাঁ, আমাদের মধ্যে সম্পর্ক বরাবরই ভাল।” পদ হারানোর ক্ষোভেই রাহুল সিনহা একথা বলেছেন, এদিন সুকৌশলে তা বুঝিয়ে দেন অনুপম। বলেন, “জীবন সব সময় এক গতিতে চলে না। উত্থান-পতন জীবনের অঙ্গ। উনি মানসিকভাবে সমস্যায় আছেন। কলকাতায় মুখোমুখি বসে চা খেতে খেতে সব মিটিয়ে নেব।” অনুপম হাজরার কথায়, বিবাদ-কোন্দল ভুলে সবাই একসঙ্গে কাজ করবে, ২১-এ বিজেপিই ক্ষমতায় আসবে। তাই দল বেঁধে লড়তেই হবে। উল্লেখ্য, বিজেপিতে মুকুল রায়ের ক্ষমতাবৃদ্ধিতে খুশি ছেলে শুভ্রাংশুও।