আসন বন্টনের রেষারেষিতে জেরবার, একাই লড়ার সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের
আসন রফা নিয়ে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে সমঝোতায় না আসতে পেরে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে সম্ভবত ‘একলা চল’ নীতি অবলম্বন করতে চলেছে কংগ্রেস। মনে করা হচ্ছে, রাজ্যের ২৪৩টি কেন্দ্রেই লড়বেন কংগ্রেস প্রার্থীরা।
কংগ্রেসকে মাত্র ৬০টি আসন ছাড়তে রাজি হয় লালুপ্রসাদ যাদবের দল। তাই পূর্ব আশঙ্কা সঠিক প্রমাণ করে দুই দিনের আসন রফা আলোচনায় রবিবার দাঁড়ি টেনে দেন বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের স্ক্রিনিং কমিটির চেয়ারম্যান অবিনাশ পান্ডে। নির্বাচনে একা লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই অবশ্য প্রতি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সম্ভাব্য প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া তিনি শুরু করেছেন।
প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে দুই দিনের ম্যারাথন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পান্ডে ছাড়াও প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান মদন মোহন ঝা, কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা সদানন্দ সিং এবং প্রদেশ কংগ্রেস প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান অখিলেশ প্রসাদ সিং।
কংগ্রেসের তরফে এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, জাতীয় দল হিসেবে আরজেডি-র কাছে যথেষ্ট পরিমাণ আসন ও ভদ্রস্থ প্রস্তাবের আশা করেছিল এআইসিসি। কমপক্ষে ৭০-৭৫টি আসন আশা করা গিয়েছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত না বাস্তবায়িত না হওয়ায় বিহার নির্বাচনে পিছনের আসনে বসার কোনও অভিপ্রায় নেই বলে আরজেডি শিবিরকে সাফ জানিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস।
বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের এক প্রাক্তন উপ-সভাপতি জানিয়েছেন, ‘২০১৫ সালে জোট শরিক হিসেবে ৪১টির মধ্যে ২৭টি আসনে জেতে কংগ্রেস। ১০১টির মধ্যে ৮০টিতে জেতে আরজেডি।’
তাঁর দাবি, এনডিএ-কে বিহারে হারাতে হলে জোট শরিকদের প্রত্যেককেই অল্প-বিস্তর ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। একই সঙ্গে কৃষক, শ্রমিক ও বেকার যুবকদের স্বার্থে জোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য তিনি উপেন্দ্র কুশওয়াহাকে অনুরোধও জানিয়েছেন।