বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে রণক্ষেত্র বসিরহাট, চলল ভাঙচুর
দলের জেলা সভাপতি অযোগ্য। শুধু তাই নয়, তিনি স্বজনপোষণ করছেন। এই অভিযোগে রবিবার ধুন্ধুমার কান্ড বেধে গেল উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে। ব্যাপক ভাঙচুরের পাশাপাশি দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তিও বেধে যায়।
জানা গিয়েছে, এদিন বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তারক ঘোষ একটি সভা ডেকেছিলেন। আর সেই সভাকে ঘিরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা। অভিযোগ, ওই সভায় সভাপতি তারক ঘোষ নিজের গোষ্ঠীর নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি দলের পুরোনো নেতা ও কর্মীদের। আর এর জেরেই উত্তাল হয়ে ওঠে সভাস্থল। চলে ব্যাপক ভাঙচুর।
তারকবাবুর বিরুদ্ধে গোষ্ঠীর বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, গত ১১ মাস ধরে সভাপতির পদ অলংকৃত করেছেন তারকবাবু। এরকম অযোগ্য কোনও জেলা সভাপতি তাঁরা ইতিপূর্বে দেখেননি। অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগের দাবি তোলা হয়েছে। অভিযোগ, তারকবাবু যেমন গোষ্ঠীবাজি শুরু করেছেন, তেমনি পুরোনো বিজেপি নেতা ও কর্মীদের গুরুত্ব দিচ্ছেন না। উপরন্তু তাঁদের অপমান করছেন। তাই তাঁরা সেটা সহ্য যেমন করবেন বা তেমনি তা মেনেও নেবেন না। অবিলম্বে তাঁরা জেলা সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়ে দলের রাজ্য দপ্তরে আবেদন জানাবেন বলেও তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, দলের জেলা সভাপতি পিকের কাছ থেকে টাকা খেয়ে দলকে বিক্রি করে দিচ্ছেন। যদিও এই ব্যাপারে এদিন তারকবাবুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোনও রকম মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিজেপি গোষ্ঠী কোন্দলকে কেন্দ্র করে এদিন উত্তাল হয়ে ওঠে বসিরহাট। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও ওই ব্যাপারে কাউকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হননি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু ওই ঘটনা নিয়ে তাদের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ করা হয়নি তাই তারা এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করতে পারছে না। তবে গোটা বিষয়টি তারা নজরে রেখেছে। তবে বিজেপির ওই গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এলাকাটি যে রণক্ষেত্রের আকার নিয়েছে তা বলাই বাহুল্য।